মমতার ইচ্ছা, শোভন-বৃদ্ধি বাড়ির ছাড়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, দোতলা-তিনতলা বাড়ির ক্ষেত্রে অল্প-বিস্তর কাঠামো পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা যাবে পুর-অনুমতি ছাড়াই। ঠিক হয়, দোতলা বাড়ির ক্ষেত্রে ফ্লোর এরিয়ার ১৫ শতাংশ এবং তিনতলার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ রদবদল করতে পারবেন বাড়ির মালিকেরা। শহরবাসীদের সুবিধার্থে সেই ছাড়ও বাড়িয়ে ২৫ ও ১৫ শতাংশ করতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তাঁর সেই নির্দেশেই সিলমোহর দিল কলকাতা পুরসভা। এ দিন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ আজ থেকেই কার্যকরী করা হল। যে সমস্ত বাড়ির মালিক এ ভাবে রদবদল করতে চান, তাঁদের পুরসভাকে পরিকল্পনার একটি নকশা সমেত একশো টাকা ফি জমা দিতে হবে। এই ধরনের ছাড় পেলে নাগরিকদের অনেক সুবিধা হবে। মেয়র পারিষদের আলোচনাতেও এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।” এ দিন পুরসভার সদর দফতরে মেয়র ছাড়াও কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং দফতরের আধিকারিকরা ও পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান পুর আইন অনুযায়ী, পরিবারের প্রয়োজনে বাড়িতে কোনও বাড়তি শৌচাগার অথবা রান্নাঘর নির্মাণ করতে হলে পুরসভার অনুমতি নিতে হয়। অভিযোগ, এই অনুমতি নেওয়ার সময়ে মালিকদের নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। বন্ধ করতে হয় এই ধরনের নির্মাণের কাজও। কাউন্সিলর এবং পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে ওঠা বিস্তর অভিযোগ পৌঁছেছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এর পরেই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য তৎপর হন। মেয়রকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন তিনি।
|
চাঙড় ভেঙে জখম দুই ছাত্রী |
চাঙড় ভেঙে আহত হলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেকার বিল্ডিংয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, মলিকিউলার বায়োলজির স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ওই দুই ছাত্রী চা খাচ্ছিলেন। হঠাৎই চাঙড় খসে পড়ে তাঁদের মাথায়। প্রথমে তাঁদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক জনের মাথায় সেলাই করতে হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি। অন্য জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। দু’জনেরই মাথায় স্ক্যান ও এক্স-রে করা হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, “ভবনগুলির বিভিন্ন দিক পর্যায়ক্রমে সারানো হচ্ছে। এ জন্য সময় ও অর্থের প্রয়োজন। ধীরে ধীরে সারাইয়ের কাজ হচ্ছে। এই ঘটনার পরে বেকার বিল্ডিংয়ের ওই জায়গায় সব চাঙড় ভেঙে ফেলা হয়েছে, যাতে এমন আর না ঘটে।”
|
শহরে পৃথক দু’টি দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে, জখম তিন। প্রথম ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সকালে। ক্যাথিড্রাল রোডে গাড়ির ধাক্কায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। মৃত তারকনাথ সাহা (৭১) রূপনারায়ণ লেনের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল সওয়া ৭টা নাগাদ একটি গাড়ি তারকবাবুকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গাড়ির চালক পলাতক। এ দিকে, বুধবার রাতে উল্টোডাঙা থানা এলাকার বেলগাছিয়া রোড দিয়ে যাওয়ার সময়ে একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাথে উঠে একটি খাবারের দোকানে ধাক্কা মারে। দোকানের তিন জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে আর জি কর থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তৃতীয় জনের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে পিজি-তে নিয়ে যাওয়া হয়।
|
মুচিপাড়া থানা এলাকার একটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল এক দল যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সূর্য সেন স্ট্রিটে। পুলিশ জানায়, ওই রাতে দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি থানায় গিয়ে তাঁর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি পুলিশকে জানান, ওই রাতে এক দল যুবক তাঁর বাড়িতে হানা দেয়। তাদের হাতে লাঠি ও আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল বলে তিনি জানান। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
|
স্কুলগাড়ি দুর্ঘটনায় জখম হল পাঁচ পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার, সল্টলেকের এডি ব্লকে। পুলিশ জানায়, গাড়িটি সল্টলেকের সিকে ব্লকের এক বেসরকারি স্কুলে যাচ্ছিল। এডি ব্লকের রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা মারে। দেবমিতা মুখোপাধ্যায় নামে এক ছাত্রীর হাতে চোট লাগে। জখম হয় আরও কিছু পড়ুয়া। স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। |