তৃণমূলের নাম করে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাটোয়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, গত ১১ নভেম্বর রাত ১১টা নাগাদ রবীন্দ্রনাথবাবুর মোবাইলে ফোন করে ওই হুমকি দেওয়া হয়। এরপরেই কাটোয়া থানার তৎকালীন ওসি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বিধায়ক ঘটনাটি জানান। কাটোয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার কাটোয়া শহরের বারোয়ারিতলায় রবীন্দ্রনাথবাবুর বাড়ির কাছ থেকে বেশ কয়েকটি বোমা উদ্ধার হয়। দু’টি ঘটনার কোনও যোগসূত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |
রবীন্দ্রনাথবাবুর অভিযোগ, ওই দিন রাত ১১টা নাগাদ তাঁকে মোবাইলে ফোন করে বলা হয়, কাটোয়া থেকে অনেকে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। স্যার আপনিও যোগ দিন। নাহলে রাস্তায় বেরোলে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নম্বরে ফোন করে দেখা গিয়েছে নম্বরটি এক মহিলার। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের লালগোলায়। পুলিশের সন্দেহ, মোবাইলটি চোরাই, আর সিমকার্ডটিও জাল। এ দিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বারোয়ারিতলার নামালের পাড় থেকে গোটা পাঁচেক বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। কয়েক পা দূরেই বিধায়কের বাড়ি। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “সিপিএম আমলে মার খেয়েছি। অনেকবার খুন হওয়ার হুমকিও পেয়েছি। কাজেই এই ধরণের হুমকিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইনি বলে কাউকে জানায়নি। শুধু ফোনে পুলিশকে জানিয়েছি।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য ঘটনাটি শুনে রবীন্দ্রনাথবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। তিনি জানান, কিছুদিনের মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কাটোয়ায় সভা করা হবে।
এই হুমকির আগে গত ৭ নভেম্বর কাটোয়ার উপ-পুরপ্রধান অমর রাম, প্রাক্তন কাউন্সিলর শমীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, জমি চৌধুরীরা কলকাতায় গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ৯ নভেম্বর শহরের স্টেশন বাজার চৌরাস্তায় মুকুল রায়, বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলেরা সভা করেন। সেখানে অনুব্রতবাবু কংগ্রেসকে হুমকিও দেন। এ দিন রবীন্দ্রনাথবাবুর প্রসঙ্গে অনুব্রতবাবু বলেন, “ওনাকে আমাদের দলের দরকারই নেই। সেখানে আমাদের কেউ হুমকি দেবে এটা কী বিশ্বাসযোগ্য? মিথ্যা অভিযোগ করে নিজেকে জাহির করছেন উনি।” |