|
|
|
|
দেবের চেয়ে আজ বেশি ভালবাসি কাজ |
তিনি শুভশ্রী! উজাড় করে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন সব বিস্ফোরক কথা বললেন,
অতীতে কোনও দিন কেউ তাঁর মুখে শোনেনি। সামনে ইন্দ্রনীল রায়। |
এ রকম ‘হট’ শুভশ্রীকে কিন্তু আগে খুব বেশি লোকে দেখেইনি।
হা হা হা, ভালই তো। ‘হট কোশেন্ট’ তো থাকতেই হবে। শ্যুটটা ভাল হল, তাই না!
মনে তো হয় খুব ভাল হল।
হ্যাঁ, আনইউজুয়াল হল। সুইমিং পুল মানেই বিকিনি হতে হবে কে বলল? আমি একটু আলাদা ভাবে ভাবতে চেয়েছি এই শ্যুটটা নিয়ে। তাই জন্যই লাল শাড়িটা পরলাম।
কিন্তু এটা তো একটা চেঞ্জ। আমরা আগেও আপনার সঙ্গে শ্যুট করেছি, কিন্তু এক্সপোজিং নিয়ে তখন আপনার সাঙ্ঘাতিক রিজার্ভেশন ছিল।
হ্যাঁ, ছিল। এখনও যে রিজার্ভেশন নেই তা নয় কিন্তু। বাট এটুকু বুঝেছি ফ্যাশন কনশাস, হেল্থ কনশাস না-হলে আজকে আপনি আর টিকতে পারবেন না। তাই তো রোজ এক ঘণ্টা রণদীপ মৈত্র-র তত্ত্বাবধানে জিম করি। আর এক্সপোজারের কথা উঠলে বলতে হয়, রিজার্ভেশন আছে। বিকিনি পরা নিয়েও রিজার্ভেশন আছে।
মানে বিকিনি পরবেন না কখনও?
ধুর্, সে রকম করে কি বলা যায়? কালকে যশরাজ থেকে ফিল্মের অফার পেলে বিকিনি পরে আমি রাস্তায় ছুটতেও রাজি। হা হা হা, ইয়ার্কি মারছি।
তবে হ্যাঁ, বিকিনি টপ নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু সারঙ্গটা মাস্ট। তবে ভবিষ্যতে সারঙ্গটা মাস্ট না-ও হতে পারে।
আচ্ছা এম এস ধোনি কি আপনার আইডল?
কেন জিজ্ঞেস করছেন?
এ জন্যই করছি কারণ ছোট শহরের অনেকের কাছে ধোনি রোল মডেল...
ওহ্, আমি বর্ধমানের মেয়ে বলে জিজ্ঞেস করছেন কি?
ইয়েস।
হ্যাঁ, বুঝতে পেরেছি। এম এস ধোনি অনেকের রোল মডেল হতে পারে, কিন্তু আমি ছোট শহরের হলেও আমার সে রকম কোনও রোল মডেল নেই।
কিন্তু ছোট শহরের অনেকের তো একটা সাইলেন্ট রিজলভ্ থাকে। যে তোমরা বড় শহরের হতে পারো, কিন্তু আমরাও দেখিয়ে দেব।
(হেসে) না, সে রকম কিছু নেই, তবে আমার সাঙ্ঘাতিক একটা জেদ আছে। স্করপিয়নদের যেমন জেদ হয় আর কী।
|
|
কলকাতায় কিন্তু কোনও নায়িকা নেই যিনি গাড়ি চালিয়ে ফোটোশ্যুটে আসেন!
ওটা আমার শখ। আজকাল তো আমি গাড়ি চালিয়ে বর্ধমানেও চলে যাই। তবে ছোট শহরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে একটা ট্রেট থাকে—তারা খুব সহজে কোনও জিনিসে গা ভাসায় না। আর আমাদের ফ্যামিলি ভ্যালুজ খুব স্ট্রং হয়।
আপনিও তো জয়েন্ট ফ্যামিলিতে বড় হয়েছেন?
হ্যাঁ, আজও আমরা জয়েন্ট ফ্যামিলি। আমার বাবা বর্ধমানে চাকরি করেন কিন্তু প্রত্যেক উইকএন্ডেই কলকাতায় আসেন। বাবা লাভস্ কলকাতা। কিন্তু আমার মা আসতে চান না। আর জয়েন্ট ফ্যামিলি বলে আমার আর একটা জিনিসও হয়েছে।
কী?
আমার কোনও বন্ধু নেই। এই যে
আমার পাশে বসে আছে রিমা। ওই আমার একমাত্র বন্ধু। বাকি আরও জ্যাঠতুতো খুড়তুতো ভাই-বোন আছে আমার। তাদের নিয়েই দিব্যি সময় কেটে যায়।
মানে ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও বন্ধু নেই আপনার?
না, কোনও বন্ধু নেই। আই হ্যাভ নো ফ্রেন্ডস। এখানে বন্ধুত্ব হয় না, সেটা তো ভাল করে জানেন। এটা অন্য জগৎ ...এখানে শুধু নিড বেসড্ সম্পর্ক তৈরি হয়।
দেব তো আপনার বন্ধু ছিল?
ছিল... দেব আমার বন্ধু ছিল। হি ওয়াজ মাই ফার্স্ট লাভ। ওকে আমি আনকন্ডিশনালি ভালবেসেছি পাঁচ বছর ধরে। কখনও কখনও মনে হয়, আজও বোধহয় ওকে ভালবাসি।
দেব কলকাতার ছেলে নন, আপনি কলকাতার মেয়ে নন। দু’জনেই কলকাতায় এসে সাকসেসফুল কেরিয়ার তৈরি করেছেন। এই থেকেই কি বন্ডিংটা...
আমার মনে হয় না। আমার ওকে ভাল লেগেছিল। ওর আমাকে। তার পর আমরা দু’টো সুপারহিট ছবি করি। ‘চ্যালেঞ্জ’ এবং ‘পরান যায় জ্বলিয়া রে’। তার পর থেকেই তো বন্ডিং...
কী দেখে দেবের প্রেমে পড়েছিলেন?
দেবের মধ্যে একটা অদ্ভুত ছেলেমানুষি আছে। ও সব সময় খুনসুটি করত, আশেপাশের মানুষজনদের হাসাতো। এই ব্যাপারগুলো দেখেই ওর প্রেমে পড়েছিলাম।
দেব তো আপনাকে নিয়ে সাঙ্ঘাতিক পোজেসিভও ছিলেন।
মেয়ে হিসেবে সেটা কিন্তু আমার অসাধারণ লাগত। আমাকে নিয়ে ও যত পোজেসিভ হত, তত বেশি করে আমি ওর প্রেমে পড়তাম।
এটা কি জানেন, আপনাদের ব্রেক আপের পরেও দেব আপনাকে নিয়ে খুব প্রোটেকটিভ ছিলেন?
...আর ও সব কথা বলে কী হবে?
এটা আমি জানি, দেব কতটা দুঃখ পেয়েছিলেন যখন ওর ব্যাপারে আপনি প্রথম মুখ খোলেন।
কিছুই বলিনি জানেন (নীরবতা)। আমি পাঁচ বছর যা সহ্য করেছি, যা কষ্ট পেয়েছি, তা যদি বলতে শুরু করি জানি না ক’টা আনন্দplus-য়ের এডিশন ভরে যাবে। নিজের চোখে এমন কিছু অপমানকর দৃশ্য আমি দেখেছি এই পাঁচ বছরে, শুনলে আপনি আমাকে বলবেন, এ সব জেনেও কী করে আমি পাঁচ বছর সম্পর্কটায় রইলাম।
ব্রেক আপটা নিশ্চয়ই খুব কঠিন হয়েছিল?
হ্যাঁ, ইট ওয়াজ ভেরি ভেরি ডিফিকাল্ট। আই লাভড্ হিম, আই স্টিল লাভ হিম। আমি সব সময় ওর ভাল চাই। আমি যে দেবকে চিনতাম সেই মানুষটা কোথায় হারিয়ে গেল! এটা ভেবেই খারাপ লাগে আমার।
দেব কিন্তু আমাদের সঙ্গে মানে মিডিয়ার সঙ্গে কোনও দিন খারাপ ব্যবহার করেননি।
(হাসি) এগুলো কি লেখার খুব একটা দরকার আছে। ছাড়ুন না।
তা একদিন হঠাৎ কি নিজেই বেরিয়ে এলেন সম্পর্ক থেকে?
দেব আর পূজা দেখছিলাম আমাকে নিয়ে নানা কথাবার্তা বলছে এ-দিক ও-দিক। সেগুলো যে দিন জানতে পারি, সে দিনই আই ওয়াকড্ আউট।
আপনাদের সম্পর্কটা কি খুব স্মুদ ছিল?
নেভার। আমি সব কিছু জেনেও চুপ করে থাকতাম। আর আমার খালি মনে হত এত ইনসিকিওরিটি নিয়ে আমি বাঁচব কী করে! তার ওপর তখন কাজ ছিল না আমার, ভীষণ খিটখিটে হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবতাম এখান থেকে বেরোব কী করে? ভাবতাম যার জন্য এত স্যাক্রিফাইস করছি, সে সত্যি আমাকে ভালবাসে তো! কত রাত যে কেঁদেছি শুয়ে শুয়ে।
সেই সময় ফোন করে দেখেছি, আপনি খুব ইরিটেটেড হয়ে থাকতেন...
হ্যাঁ, জানি। গত বছর সেপ্টেম্বরের কথা বলছেন তো?
হ্যা। আপনি আর দেব তখন হায়দরাবাদে শ্যুটিং করছিলেন।
হ্যাঁ, হ্যাঁ, ওটাই তো লাস্ট ফেজ। তখন তুমুল অশান্তি চলছে। আমার মুড সব সময় অফ থাকত।
আপনি কি জানেন, অনেকের ধারণা, আজ বাকি হিরোইনদের যদি কাউকে নিয়ে ভয় থাকে, তা হলে সেটা আপনি?
(ওমলেট খেতে খেতে) কেন বলছেন?
কারণ আপনি আর আগের মতো নেই। রিলেশনশিপ-এর হ্যাংওভার নেই। পুরো ফোকাস এখন কেরিয়ার।
না, সে রকম কিছু নয় যে অন্যদের আমাকে নিয়ে ইনসিকিওরড হতে হবে। তবে এই মুহূর্তে আমার প্রায়োরিটি শুধু কাজ। ওয়ার্ক, ওয়ার্ক অ্যান্ড ওয়ার্ক। অনেক কষ্ট হয়েছে সম্পর্কটা থেকে বেরোতে, এ বার সামনে তাকাতে চাই।
|
|
যা শুনেছি, আপনি তো এত কেরিয়ার কনশাস ছিলেন না আগে?
না, ছিলাম না তো। আমি সংসার করব, বাড়ির দেখভাল করব, আমি ওই লাইফের সঙ্গে খুব কমফর্টেবল। (মাথা নামিয়ে) কিন্তু আজ ও সব নিয়ে আর ভাবি না। এখন শুধুই কাজ।
প্রচুর ফিল্মের অফার তো আপনার হাতে?
হ্যাঁ, বেশ কিছু অফার আছে। ওই যে বললাম, আমি শুধু ভাল ভাল কাজ করতে চাই। সৃজিত (মুখোপাধ্যায়)দার ‘চতুষ্কোণ’ করার কথা ছিল আমার। কিন্তু করে উঠতে পারলাম না। সৃজিতদাকে এই ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে বলতে চাই, সৃজিতদা, আই অ্যাম ভেরি ভেরি সরি। সৃজিতদার সঙ্গে ভবিষ্যতে খুব কাজ করার ইচ্ছে আমার।
‘বস টু’ করছেন তো?
হ্যাঁ, ‘বস টু’ করব জিতদার সঙ্গে। অঞ্জনদার সঙ্গে ‘শেষ বলে কিছু নেই’ চলছে। আরও কয়েকটা দুর্দান্ত অফার আছে। জিৎদার পরের ছবি ‘বচ্চন’য়ে এই প্রথম একটা আইটেম সং করছি। সেটা নিয়ে আমি ভীষণ এক্সাইটেড। আমার ধারণা মানুষ মনে রাখবে ‘বচ্চন’য়ের এই আইটেম সংটা।
অনেকে বলে দেবকে ইরিটেট করতেই নাকি ‘বস’-য়ে আপনি জিতের সঙ্গে অভিনয় করলেন?
না, এ রকম করার মেয়ে আমি নই। আর কেউ জানুক বা না জানুক, দেব জানে এটা।
দেব আর জিৎ দু’জনের মধ্যে তফাতটা কোথায় সেটার বেস্ট জাজ বোধহয় আপনি?
তাই কি?
অবশ্যই।
জিৎদা সিনিয়র। প্রচুর ওঠা-পড়া দেখেছে জীবনে, সাকসেসও যেমন দেখেছে, তেমন ফেলিওর-ও দেখেছে। তাই জিৎদাকে খুব সর্টেড লাগে আমার। দেব তো শুধুই
সাকসেস দেখেছে। ফেলিওর প্রায় দেখেইনি। এটাই সব চেয়ে বড় ডিফারেন্স।
দেব ফেলিওর দেখেননি বলছেন।
দেখেছে নাকি? আমার তো মনে হয় না।
কালকে যদি কোনও প্রোডিউসর আপনাকে দেবের বিপরীতে কাস্ট করেন, সেই ছবিটা করবেন?
অবশ্যই করব। আর এটা আমি বলতে হয় বলে বলছি না। সেই সময় যদি ফ্লোরে আমার চারটে ছবিও চলে, সেগুলোর ডেট অ্যাডজাস্ট করতে হলে তা-ও করব।
‘চাঁদের পাহাড়’য়ের প্রিমিয়ারে যাবেন?
আমাকে তো কেউ ডাকে না।
মানে, আপনাকে ইনভাইট করা হয় না?
না, ভেঙ্কটেশ ফিল্মস তো আমায় পছন্দ করে না। দেখা হয় ওঁদের সঙ্গে নানা জায়গায়। কিন্তু ডাকে না কেউ।
অত বড় হিট দিয়েছেন তো আপনি ওঁদের ব্যানারে?
ও সব কেউ মনে রাখে নাকি এখানে? তবে ‘চাঁদের পাহাড়’ অবশ্যই দেখব। কিন্তু সেটা নিজের পয়সায়। আর চাইব যেন ‘চাঁদের পাহাড়’ বিরাট হিট হয়। আমি দেবের জন্য সব সময় বেস্টটাই চাইব। তবে দেবের সঙ্গে ব্রেক আপের পরে আর একটা ব্যাপার হয়েছে। |
|
কী?
আমি আর সাউথ সিটি যেতে পারি না। না হাউজিং কমপ্লেক্সে, না মল-য়ে। ওখানে এত স্মৃতি রয়েছে! এই যে আমার বন্ধুরা রয়েছে (পাশে বসা বন্ধুর দিকে আঙুল দেখিয়ে) তাঁরা আমাকে নিয়ে সাঙ্ঘাতিক ইরিটেটেডও হয়েছে কত...
কেন? ব্রেক আপের পরে আপনি শুধু দেবের কথা বলতেন বলে?
হ্যা। প্রথম ছ’মাস আই ওয়াজ ডিভাস্টেটেড। তখন ওই বন্ধুরাই সাপোর্ট করেছে। কিন্তু আজ ওরা আমাকে বকে...বলে নো লুকিং ব্যাক। আর সত্যি নো লুকিং ব্যাক। ওই একটা ফেজে আমি অনেক কিছু শিখেছি, যা ভবিষ্যতে আমাকে সাহায্য করবে। টুডে আই অ্যাম ভেরি হ্যাপি। বললাম না শুধু সামনে দেখতে চাই।
‘পরান যায়...’-য়ের পর আপনি তো মাঝখানে দু’বছর কাজ করছিলেন না?
হ্যাঁ, আমার কনট্র্যাক্ট ছিল ভেঙ্কটেশের সঙ্গে। কিন্তু দু’বছর আমাকে কেউ কোনও কাজ দেয়নি।
দেব কিন্তু সেই ফেজটায় আপনাকে অনেক সাপোর্ট করেছিলেন।
হ্যাঁ, করেছিল।
আচ্ছা এই যে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে থালি গার্ল হলেন, সেই একই মঞ্চে তো দেবও ছিলেন। কোনও অকোয়ার্ডনেস কাজ করেনি?
না একেবারেই না। দেখুন, থালি গার্ল হওয়াটা দারুণ সম্মানের। আমি যে এই দায়িত্বটা পেয়েছি সেটা ভেবেই তখন আমি অভিভূত। আশেপাশে কে ছিল তা এক বারের জন্যও আমাকে বদার করেনি।
আপনারা দু’জনেই রাজ্যের অনেক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। কখনও মনে হয়নি, কাউকে বলে ওই ব্যাপারটা সর্ট আউট করে নিতে?
না, কোনও দিন মনে হয়নি। ইনফ্যাক্ট মাথাতেও আসেনি।
আজ দেবের সঙ্গে এক মডেলের অ্যাফেয়ার এ রকম একটা রিউমার শোনা যাচ্ছে...
আমি সব জানি। আই নো এভরিথিং।
জানেন?
ইয়েস, আমি সব জানি। সাউথ আফ্রিকা থেকে যে অনেককে বিবিএম পাঠিয়েছে সেটা তো আনন্দplus-য়েই পড়েছিলাম। পড়ে একটুও আশ্চর্য হইনি। আরে, পাঁচ বছর ওর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। ও যে এটা করতে পারে আমি জানি।
রাইমার সঙ্গে দেবের বন্ধুত্বটা নিয়ে কী বলবেন?
রাইমা আর দেব খুব ভাল বন্ধু। অল দ্য বেস্ট, দুজনকেই।
এই যে এ বারে আনন্দplus-য়ে পুজো শ্যুটে সায়ন্তিকা ছিলেন, ওই ছবিগুলো দেখে মনে হয়নি, ইস্ আমি নেই কেন?
না মনে হয়নি। পরের পুজোয় আনন্দplus-য়ের যদি আমাকে দরকার পড়ে, তা হলে আমি থাকবই।
থ্যাঙ্ক ইউ। ইউ হ্যাভ বিন ভেরি অনেস্ট।
আমি সব সময়ই অনেস্ট ছিলাম।
সেটাই আমার স্ট্রেংথ। কখনও সেটাই আমার উইকনেস। তবে আজ
আমি অনেক ওয়াইজ। আমাকে
আর কিছু ভাবায় না। আজ যে আপনার পরম বন্ধু, সে-ই কাল সকালেই
আমার চরম শত্রু হতে পারে। আগে এটা আমি মেনে নিতে পারতাম না।
কষ্ট হত। আজ আমি জানি, এনিথিং
ইজ পসিবল।
এটা রিয়েলাইজেশন?
ইয়েস, এটাই রিয়েলাইজেশন। অনেক ঠেকে শিখেছি। কিন্তু শিখে তো গিয়েছি। আর আমার একটাই অ্যাডভান্টেজ। ১৭ বছর বয়সে কেরিয়ারে এসেছিলাম। মাঝখানে দু’বছর কোনও কাজ করিনি। আজ আমি ২৩। এখনও অনেকটা পথ যাওয়া বাকি।
হিরোইনরা তো নিজের বয়স বলে না। বললেও কমিয়ে বলে?
(হেসে) কমিয়ে বলার প্রশ্নই নেই। ওই যে বললাম, আমার সব চেয়ে বড় স্ট্রেংথ আমার অনেস্টি। |
লোকেশন: পার্ক প্লাজা, স্টাইলিং: স্যান্ডি
মেক আপ: নবীন দাস, হেয়ার: আশিস বোগী
ছবি: সোমনাথ রায়। |
|
|
|
|
|