টুকরো খবর
জয়েন্ট বিডিও-কে মার, তৃণমূল অভিযুক্ত
স্মারকলিপি দিতে গিয়ে শুরু হয় বচসা। তার জেরেই নওদার জয়েন্ট বিডিও-কে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সদস্য জ্যোৎস্না সেন ও তাঁর কয়েক জন অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ওই জয়েন্ট বিডিও সম্রাট বাগচি আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নওদার বিডিও লিটন সাহা বলেন, “রীতিমতো দফতরের মধ্যে ঢুকে সম্রাটবাবুকে হেনস্থা করা হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি হুমায়ুন কবীর বলেন, “শাসক দলের সদস্য হয়ে সরকারি দফতরে ঢুকে আধিকারিকের উপরে চড়াও হওয়া উচিত হয়নি। অভিযুক্ত নেত্রী ও কর্মীদের সঙ্গে দলীয় ভাবেও কথা বলব।” জ্যোৎস্নাদেবী অবশ্য দাবি করেছেন, “মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।” জ্যোৎস্নাদেবী স্থানীয় অন্নদামনি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। এ দিন তিনি কয়েকজন অনুগামীকে নিয়ে গীতাঞ্জলি প্রকল্পের ঘর, জবকার্ড ও একশো দিনের কাজে নানা অভিযোগ সংক্রান্ত স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন নওদা ব্লক দফতরে। বিডিও ছিলেন না। সম্রাটবাবু দফতরের কাজেই বাইরে গেলেও তাড়াতাড়িই ফিরে আসেন। লিটনবাবু বলেন, “তৃণমূল কর্মীরা দফতরে এসেছেন শুনে সম্রাটবাবুও মিনিট দশেকের মধ্যেই ফিরে আসেন। কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা দাবি করতে থাকেন, তিনি অনেক দেরি করে এসেছেন। এরপরে সম্রাটবাবুকে দফতরের মধ্যেই মারধর করা হয়।” জ্যোৎস্নাদেবীর বক্তব্য, “বিডিও-কেই স্মারকলিপি দিতে চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু বিডিও দায়িত্ব দেন জয়েন্ট বিডিও-কে। তিনিও দেরি করে এসেছিলেন। সেই কারণেই আমাদের কর্মীরা অধৈর্য হয়ে পড়ে। কিছুটা বচসা হয়। আরও বড় কিছু ঘটতে পারত। তবে আমি সামলে দিয়েছি।”

প্রতারণার ধৃত চার যুবক
চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে কলকাতার নিউ মার্কেট থানার সাহায্যে সদর স্ট্রিট এলাকার একটি হোটেল থেকে তাদের গ্রেফতার করে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ। জেলা পুলিশের ডিএসপি(সদর)দিব্যজ্যোতি দাশ বলেন, “ধৃত রাহুল ঝা, মনোজ সিংহ, সঞ্জিত কুমার বিহারের বাসিন্দা এবং রমেশ কুমার উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। টাকার টোপ দিয়ে তাদের কলকাতা থেকে ধরা হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর কৃষ্ণনগরের গোবরাপোতার বাসিন্দা সুমন বণিক নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ধৃতদের। তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হওয়ার পর সুমনকে বোকারোর একটি স্টিল কারখানায় চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দেয় তারা। এমনকী তারা ওই যুবকের কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি ভুয়ো নিয়োগপত্র দেয় বলেও অভিযোগ। সেই নিয়োগ পত্র নিয়ে ওই যুবক বোকারোর ওই স্টিল কারখানায় গেলে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাকে ওই নিয়োগপত্র ‘জাল’ বলে জানায়। এরপরই ওই যুবক ওই চক্রের একজনকে আরও টাকা দেওয়ার নাম করে কৃষ্ণনগরে ডেকে এনে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সুমনবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। সম্প্রতি ওই চক্রের আরও কয়েকজন সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায়, আরো সাড়ে চার লাখ টাকা দিলে চাকরি ‘পাকা’ হয়ে যাবে। এরপর কোতোয়ালি থানার পুলিশ সুমন বণিককে টোপ হিসাবে ব্যবহার করে কলকাতা থেকে ওই প্রতারণা চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার করে।

ট্রান্সফর্মার বিকল, সমস্যায় চাষিরা
ছ’মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে ট্রান্সফর্মার। ফলে বিদ্যুৎ না থাকায় সেচের জলের অভাবে বন্ধ রয়েছে প্রায় পাঁচশো বিঘা জমির চাষআবাদ। একাধিকবার বিদ্যুৎ দফতরকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ বেলডাঙার বিনকার এলাকার চাষিদের। ক্ষুব্ধ চাষিরা জানাচ্ছেন, এলাকার বেশির ভাগ জমিই তিন ফসলি। দীর্ঘদিন ধরেই ট্রান্সফর্মার বিকল থাকায় শিকেয় উঠেছে চাষ-আবাদ। আমন ধান চাষ করতে পারিনি। বুঝতে পারছি না এমন অবস্থা আর কতদিন চলবে। মহুলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি তৃণমূলের মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গত ছয় মাস ট্রান্সফর্মার বিকল থাকায় এলাকার প্রায় এক হাজার চাষি সমস্যায় পড়েছেন। বিদ্যুৎ দফতরকে জানিয়েও কোন সুরাহা হয় নি।” স্থানীয় চাষি নন্দকিশোর নন্দী, গিয়াসউদ্দিন, তারক মণ্ডলদের কথায়, “এমন অবস্থার জন্য আমন চাষ হয়নি। বোরো ধান চাষ করা নিয়েও অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি।” রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার বহরমপুরের ডিভিসন ম্যানেজার সুকান্ত মণ্ডল বলেন, “এত দিন ধরে ট্রান্সফর্মার বিকল থাকার কথা নয়। কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ট্রান্সফর্মার মেরামত করা হবে।”

‘আনন্দম্’ পত্রিকার শততম সংখ্যা
প্রকাশিত হল ‘আনন্দম্’ পত্রিকার শততম সংখ্যা। এমন কি তীব্র রোগ যন্ত্রণার সঙ্গে প্রকাশকের লড়াই পত্রিকা প্রকাশের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়তে দেয় নি। পত্রিকার প্রকাশক নন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের দু’টো কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে অসুখে। সপ্তাহে দু’টো ডায়ালিসিসের মাঝেও নন্দিতাদেবী চোখ বুলিয়েছেন একশ’তম সংখ্যার পাণ্ডুুলিপিতে। অসুস্থ শরীরে গত রবিবার পৌঁছে গিয়েছিলেন পত্রিকার ৩৯৬ তম সাহিত্য বাসরে। ৩৩ বছর ধরে প্রতি মাসে নিরবিছিন্ন ভাবে চলে আসা এই সাহিত্য বাসরেই প্রকাশিত হল ‘আনন্দম’-এর একশতম সংখ্যা। ১৯৮০ সালের ২২ ডিসেম্বর চাপড়ার বড় আন্দুলিয়ায় সাহিত্য সভা শুরু করেছিল কয়েকজন যুবক। ১৯৮২ সালে ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতই জুলাই মাসে চাপড়ার রাধা প্রেস থেকে প্রকাশিত হয় ‘আনন্দম’ এর প্রথম সংখ্যা। ‘আনন্দম’ মূলত ত্রৈমাসিক কবিতা পত্র। সেই সময় যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন রামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও শেখ রমজান, প্রকাশক ছিলেন রামকৃষ্ণ দে। ২৫তম সংখ্যায় প্রকাশকের দায়িত্ব নেন রামপ্রসাদবাবুর স্ত্রী নন্দিতা মুখোপাধ্যায়। জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি দফতিরের আধিকারিক রানা দেবদাশ বলেন, “চাপড়ার মত একটি পিছিয়ে পড়া সীমান্ত এলাকায় টানা ৩৩ বছর ধরে প্রতি মাসে সাহিত্য সভা করার পাশাপাশি একশতম সংখ্যা বের করা সত্যি একটা বিরল ঘটনা। সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে এমনটা হওয়া সম্ভব নয়।”

বিলি হল সরকারি প্রকল্পের আবেদনপত্র
সংখ্যালঘু উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে নদিয়া জেলা প্রশাসন বুধবার একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করল। এ দিন দুপুর দু’টো নাগাদ জেলা পরিষদের সভাঘরে এই আলোচনাচক্রে বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিষদীয় সচিব নাসিরউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘‘অনেকেরই সরকারি নানা প্রকল্প সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। বিশেষ করে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম কম সুদে মেয়াদি ও গুচ্ছ ঋণ দিয়ে থাকে। সাধারণ মানুষকে ঋণের সুবিধা নিয়ে স্বনির্ভর হতে হবে।” জেলার সমস্ত ব্লকে গুচ্ছ ঋণের সুবিধা সমানভাবে মিলছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ দিনের ওই সভায় ছিলেন রাজ্যের সংখ্যালঘু উ্ন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষার মাধ্যমেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নতি হতে পারে। পড়ুয়াদের জন্য সরকারের অনেক বৃত্তি রয়েছে। সেগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।” ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা শ’খানেক মানুশের মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের আবেদনপত্র বিলি করা হয়। বিকেল পাঁচটা নাগাদ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভা শেষ করেন জেলা শাসক পি বি সালিম।

বাস বন্ধ দু’টি রুটে
‘অকারণে’ মারধর করা হয়েছে এক বাসকর্মীকে। এমনই অভিযোগ তুলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘটের ডাক দিলেন বাসকর্মীরা। বুধবার দুপুর থেকে কৃষ্ণনগর-রানাঘাট ভায়া শান্তিপুর ও কৃষ্ণনগর-কালনা ঘাট ভায়া শান্তিপুর-এই দুটি রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আচমকা বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ ও নিত্যযাত্রীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার শান্তিপুরের বাগদিয়ার কাছে বাসে ব্যাগ রেখেই এক মহিলা নেমে পড়েন। ওই ব্যাগটি উদ্ধার করতে স্থানীয় কয়েকজন যুবক বাসটিকে ধাওয়া করে। বাসটিকে থামিয়ে তাঁরা ব্যাগটি নামাতে যান। বাসকর্মীরা রাজি না হওয়ায় তাঁদের একজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ব্যাগটি উদ্ধার করে। নদিয়ার বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সমিতির সদস্য অসীম দত্ত বলেন, “অকারণে বাসকর্মীদের মারধর করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস বন্ধের ডাক দিয়েছেন কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বাস চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”

পুনর্বাসনের দাবি
সারগাছি থেকে বেলডাঙা পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজের ফলে রাস্তার দু’ পাশের শ’দেড়েক দোকানঘর উচ্ছেদের মুখে। দাকানদারদের পুনর্বাসনের দাবিতে বুধবার বেলডাঙা কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। বেলডাঙা কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অশোক বর্দ্ধন বলেন, “আমরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের পক্ষে। কিন্তু তার জন্য যাঁদের উচ্ছেদ হতে হবে তাঁদেরও পুনর্বাসন চাই।” জেলাপরিষদের সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদার বলেন, “ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের বলা হয়েছে খাস জমি দেখে দিলে পুনর্বাসন দেওয়া হবে।”

মদের ঠেকে হানা
মদের ঠেকে হানা দিয়ে প্রায় ৭৫ লিটার চোলাই মদ বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে বড়ঞা থানা এলাকার ঘটনা। এই ঘটনায় ন’জন মদ প্রস্তুতকারককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ জানিয়েছে মঙ্গলবার রাতে বড়ঞা থানা এলাকার পছিপাড়া, ধানঘরা ও ডাঁইহাট গ্রামের তিনটি ঠেকে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় চোলাই মদ ও মদ তৈরির নানা উপকরণ।

আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধৃত
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ধৃত তসলিম শেখ চাঁদসড়কপাড়ার বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাতে বাড়ির সামনে থেকে তাকে ধরা হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.