সবুজায়ন প্রকল্প উত্তরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
২০ বিঘা জমির উপর একটি কেন্দ্রীয় ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ড’ তৈরি করে সেখানেই ফেলা হবে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, গোবরডাঙা, হাবরা, অশোকনগর, কল্যাণগড় পুর এলাকার আবজর্না। তা থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করবে একটি বেসরকারি সংস্থা। সম্প্রতি জেলার ২২টি পুর এলাকায় সবুজায়নের কাজ নিয়ে একটি বৈঠকে এমনই পরিকল্পনা হয়েছে বলে জানালেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আগামী ১০ ডিসেম্বর জেলার ২২টি পুর এলাকায় শুরু হতে চলেছে সবুজায়নের কাজ। গাছ লাগানোর পাশাপাশি হবে জঙ্গল সাফাইয়ের কাজও। কী ভাবে ওই কাজ করা হবে তা ঠিক করতে সম্প্রতি মধ্যমগ্রামে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, খাদ্যমন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সাংসদ সৌগত রায়ের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। জেলার ২২টি পুরসভার চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান ও বিধায়কেরা সেখানে ছিলেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, পুর এলাকাগুসির রাস্তার ধারে অনেক গাছ লাগানো হবে। নতুন করে শিশুউদ্যান তৈরি হবে। সেখানেও চারাগাছ লাগানো হবে। পুর এলাকার পুকুরগুলি সংস্কার করে পাড় বাঁধিয়ে গাছ লাগানো হবে। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “বনগাঁ, গোবরডাঙা, হাবরা, অশোকনগর, কল্যাণগড় এই চারটি পুরসভার আবর্জনা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে আসা হবে। ২০ বিঘা জমির উপর একটি কেন্দ্রীয় ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে ওই চারটি পুর এলাকার নোংরা ফেলা হবে। একটি বেসরকারি সংস্থা তা থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করবে।”
|
গলসিতে উদ্ধার সজারু
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
উদ্ধারের পরে সজারুটি।—নিজস্ব চিত্র। |
প্রাণে বাঁচলো সজারু। বুধবার সকালে বর্ধমানের গলসি থানার দরবারপুরে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে ডিভিসির সেচখালের পাশে একটি গর্তে এক সজারুকে আটকে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। ওই গর্তের চারপাশের মাটি কেটে সজারুটিকে উদ্ধার করেন তাঁরা। পরে সেটিকে বস্তা চাপা দিয়ে গলসি থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ সজারুটিকে থানায় এনে খবর দেয় বন দফতরকে। বন দফতরের লোকেরা সজারুটিকে উদ্ধার করেছে। আপাতত বর্ধমানের রমনাবাগান মিনি জুতে একটি বড় খাঁচায় রাখা হয়েছে সজারুটিকে। বর্ধমানের বনাধিকারিক অজয়কুমার দাস বলেন, “আউশগ্রাম-কাঁকসার জঙ্গলে কিছু সজারু রয়েছে। সম্ভবত এই দেড় বছরের সজারুটি সেখানে থেকেই গলসিতে চলে এসেছে। প্রাণীটি অবলুপ্তির পথে এগিয়ে চলেছে। দু’ফুট লম্বা ও এক ফুট উচ্চতার প্রাণীটির পিছনের দিকে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসা চলছে। সেরে ওঠার পরে এটি হবে রমনাবাগান মিনি জু-র অন্যতম দ্রষ্টব্য।”
|
মাকনার দেহ উদ্ধার ডুয়ার্সে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বীরপাড়া |
মাকনা হাতির দেহ উদ্ধার হল ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে। বুধবার গারো বস্তি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বনকর্মীরা গিয়ে হাতির দেহটি ময়নাতদন্ত করান। বন দফতর জানিয়েছে, হাতিটির বয়স বছর দশেক। জলপাইগুড়ির ডিএফও বিদ্যুৎ সরকার বলেন, “বিষক্রিয়া কিংবা হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়নি। শুঁড়ে কালো দাগ আছে। তবে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যুর চিহ্নও মেলেনি। হাতিটির দেহাংশ পরীক্ষা করে কারণ নির্ণয়ের চেষ্টা করা হবে।”ওই এলাকার একদিকে ধূমচির জঙ্গল। অন্য পাশে দলমোড়ের বনাঞ্চল। কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মঙ্গলবার রাতে হাতির পাল দলমোড়ের জঙ্গলের দিকে দেখা যায়। একটি ছোট্ট হাতি ধুঁকতে ধুঁকতে চলছিল। দুটি হাতি পাশে ছিল। ধান খেতে হাতিটি লুটিয়ে পড়লে কিছুক্ষণ পরে অন্য হাতি দুটি চলে যায়।
|
কুকুরের কামড়ে জখম
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
কুকুরের কামড়ে জখম হলেন আট জন পথচলতি মানুষ। এক সপ্তাহের মধ্যে এতজনের আক্রান্ত হওয়ায় ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খড়্গপুরের সুভাষপল্লির ১৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি কুকুরই এত জনকে কামড়েছেন। স্থানীয়দের দাবি এরপরও কুকুড়টিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া বা চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। ওই এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর দত্তের কথায়, “একটি এলাকার মধ্যেই কুকুরটি ঘোরাফেরা করছে। আমরা আতঙ্কে রয়েছি।” যদিও ওই এলাকার কাউন্সিলার সত্যদেও শর্মা বলেন, “পুরসভার তরফে কুকুর ধরার কোনও ব্যবস্থা নেই।” পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে জানান, “বিষয়টি জানা নেই। স্থানীয় কাউন্সিলারের সঙ্গে কথা বলব।”
|
রান্নাঘরে হানা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
প্রাথমিক স্কুলের রান্নাঘরে হামলা চালাল দাঁতাল। মঙ্গলবার রাতে ডুয়ার্সে নাগরাকাটা লাগোয়া টন্ডু টিজিএসপি প্রাথমিক স্কুলে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাত ৩টে নাগাদ লাগোয়া ডায়নার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে দাঁতাল নদী পেরিয়ে চা বাগানে ঢুকে পড়ে। বাগানে ঢোকার মুখেই প্রাথমিক স্কুলের রান্নাঘর দেওয়াল ভেঙে দেয় বুনোটি। স্কুলে ভাঙচুরের পরেই হাতিটি ফের জঙ্গলে ফিরে যায় বলে বাসিন্দাদের দাবি। গত সপ্তাহ থেকেই দাঁতালটি লুকসান এবং শুল্কাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে।
|
বিরল শকুন
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
বিরল প্রজাতির শকুন উদ্ধার হল জঁয়গা থেকে। বুধবার সকালে বড় মেচিয়া বস্তির বাসিন্দারা শকুনটিকে তোর্র্সা চা বাগানে পড়ে থাকতে দেখে বন দফতরের হাতে দেন। বন্যপ্রাণ ৩ বিভাগের দলসিংপাড়ার বিটকমীর গোলি তামাং বলেন, “শকুনটিকে রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রে পাঠানো হবে।” উদ্ধার হওয়া শকুনটি হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির। বয়স বছর খানেক।
|