দামোদর পেরিয়ে কাঁকসার রাজবাঁধে এসে কিছু খেতের ফসল নষ্ট করল এক দল হাতি। মঙ্গলবার রাতে বাঁকুড়ার সোনামুখীর দিক থেকে প্রায় ২০টি হাতির ওই দল এসে হাজির হয় বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। দিনভর রাজবাঁধের জঙ্গল ও তার লাগোয়া এলাকায় ঘোরাঘুরির পরে বুধবার রাত ৮টা নাগাদ হাতিগুলিকে ডিভিসি-র ক্যানাল পার করে ফের দামোদরের দিকে পাঠানো হয়েছে বলে বনকর্তারা জানিয়েছেন। |
কাঁকসার রাজবাঁধে বুধবার দাঁতালের ছবিটি তুলেছেন সব্যসাচী ইসলাম। |
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন ভোরে তাঁরা দেখেন মাঠের পাশে জঙ্গলের ধার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক পাল হাতি। নজরে পড়ে, বেশ কিছু খেতের ফসল তছনছ করেছে তারা। এলাকাবাসী বন দফতরকে খবর দেন। বনকর্মীরা সেখানে পৌঁছে হাতিগুলিকে জঙ্গলের মধ্যে পাঠানোর চেষ্টা করতে থাকেন। সারা দিন হাতিগুলি জঙ্গলের মধ্যেই কাটায়। বনকর্মীরা জানান, দলটিতে চার-পাঁচটি খুদে এবং গোটা চারেক দাঁতাল রয়েছে। মাঝে-মধ্যে তারা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লাগোয়া এলাকায় ঘোরাফেরা করেছে। এলাকাবাসীকে ওই জঙ্গলের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি।
বন দফতরের বর্ধমান বিভাগের পানাগড় রেঞ্জ অফিসার মানস ঘোষ জানান, সন্ধ্যার পরে হাতিগুলিকে খেদানোর কাজ শুরু হয়। রাত ৮টা নাগাদ পুরো দলটিকেই রেললাইন পার করিয়ে ডিভিসি-র ক্যানালের অন্য দিকে পাঠানো সম্ভব হয়। মানসবাবু জানান, রাতে বন দফতরের কর্মীরা পাহারায় থাকবেন, যাতে ফের হাতি এ দিকে না চলে আসে। তিনি বলেন, “অতীত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, ক্যানাল পার করে দিলে আর হাতিরা ফিরে আসে না। দামোদর পেরিয়ে চলে যায়।” রেল কতৃর্পক্ষ বিভিন্ন ট্রেনের গতি কমিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছেন বলে মানসবাবু জানান। |