যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাস। অথচ, সেই বাসের সংখ্যাই হাতেগোনা। ফলে কোথাও যাওয়া-আসাটাই রীতিমতো ঝক্কির হয়ে দাঁড়িয়েছে বুদবুদ, মানকরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, একে বাসের সংখ্যা অপ্রতুল, গত কয়েকদিনে তা আরও কমে গিয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রের কাছেও আবেদন করেছেন তাঁরা।
বুদবুদের মানকর স্টেশন থেকে একটি রাস্তা চলে গিয়েছে গুসকরা। আর একটি রাস্তা গিয়েছে ভাতকুণ্ডা হয়ে মোরবাঁধ। মানকরের ডিগ্রি কলেজ, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পড়ে এই রাস্তার উপরে। আবার আউশগ্রাম ২ ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে অনেকেই পড়তে বা ট্রেন ধরতে মানকরে আসেন। একাধিক সরকারি কার্যালয়ও রয়েছে এলাকায়। ফলে প্রতিদিনই পড়ুয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি কর্মীদের ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত বাস না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। আবার বোলপুর যাওয়াআসার জন্যও অনেকে এই রাস্তা ব্যবহার করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এমনিতেই রাস্তার হাল ভাল নয়। তার উপর যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাস। ফলে ভিড়ে বসার জায়গা তো মেলেই না, রাস্তার ঝাঁকুনিতে গায়ে ব্যাথা হয়ে যায়। ভাতকুণ্ডার বাসিন্দা আরিফ হোসেন জানান, প্রায় রোজই নানা কাজে তাঁদের মানকর বা বুদবুদে যেতে হয়। ব্লক অফিসে যাওয়ার জন্যই মানকরে যেতে হয়। কিন্তু বেশি বাস না থাকায় অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। গন্তব্যে পৌঁছতে দেরিও হয়ে যায়। আবার এলাকার অনেক ছেলেমেয়ে বোলপুরে পড়তে যায়। বাসের অভাবে তাঁদের অনেককেই ঘুরপথে যেতে হয়। আরিফবাবু বলেন, “বাস না পেয়ে অনেকদিনই ঘণ্টা পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে তারপর ফিরে যেতে হয়।”
সমস্যা শুধু মানকরে আসেন যাঁরা তাঁদের নয়, এলাকা থেকে মোরবাঁধ, ভেলিয়া বা বোলপুরে যাঁরা যান তাঁদেরও। মানকরের এক বাসিন্দা সুকুমার পাল জানান, এই রুটে আগে সাতটি বাস চলত। কিন্তু বেশ কয়েকমাস ধরে দু’টি বাস বন্ধ। ফলে সমস্যা আরও বেড়েছে। তিনি আরও জানান, বোলপুরগামী বাসের সংখ্যাও কম। ফলে বোলপুর যেতে হলে মোরবাঁধ বা ভেদিয়া থেকে বাস পাল্টে যেতে হয়। পরিবহণ মন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। তাঁদের আশা, মন্ত্রী নিশ্চয় সমস্যা মেটাবেন। |