কেতুগ্রামে ছোট রেলে ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় সাক্ষ্য দিলেন ওই ট্রেনের যাত্রী বীরভূমের আমোদপুরের বাসিন্দা স্বাতী সূত্রধর। মঙ্গলবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারপতির সামনে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। সোমবার স্বাতীদেবীর স্বামী শিবরামবাবুও সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, গত বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই দম্পতি আমোদপুর থেকে কাটোয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন স্বাতীদেবীর ননদও। আদালতে স্বাতীদেবী জানান, ওই দিন ট্রেন থামার পর বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী পরপর ট্রেনের ভিতর ঢুকে যাত্রীদের কাছ থেকে লুঠপাট শুরু করে। তাঁর স্বামীর দিকেও ভোজালি হাতে এগিয়ে আসে একদল দুষ্কৃতী। তাঁর অভিযোগ, এরপর দুষ্কৃতীরা স্বামীর মাথায় ভোজালি ঠেকিয়ে ১০০ টাকা ও আঙুলে থাকা সোনার আংটি কেড়ে নেয়। তারপরেই তাঁর কাছে থাকা সোনার আংটিও নিয়ে নেয়। তাঁর ননদের কাছ থেকেও দুষ্কৃতীরা লুঠপাট চালায়। এর আগে, একই বক্তব্য তিনি ডাকাতি ঘটনার তদন্তকারী রেল পুলিশকে জানিয়েছিলেন। গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কেতুগ্রামের পাঁচুন্দি ও অম্বলগ্রাম স্টেশনের মাঝে ট্রেন থামিয়ে লুঠপাট করার সময় মেয়ের সামনে এক মহিলাকে ট্রেন থেকে নামিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
|