|
|
|
|
পদোন্নতি চেয়ে দিনভর বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
পদোন্নতির দাবিতে মঙ্গলবার দিনভর ক্লাস বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির শিক্ষক ও টেকনিশিয়ানেরা। তাঁদের দাবি, গত ৯ বছর ধরে কোনও শিক্ষক বা টেকনিশিয়ানের পদোন্নতি হয়নি। এছাড়া টেকনিশিয়ানদের নিয়োগপত্রে স্থায়ী বলে লেখা থাকলেও অস্থায়ী কর্মী হিসেবে মাসে ৬ হাজার টাকা বেতন পান তাঁরা। তাঁদের দাবি, উপাচার্য বারবার আশ্বাস দিলেও পদোন্নতি হয়নি বা স্থায়ী পদের সমান বেতনও মেলেনি। |
শিক্ষকদের দাবি |
• গত ৯ বছর ধরে কোনও শিক্ষক বা টেকনিশিয়ানদের পদোন্নতি হয়নি। |
• টেকনিশিয়ানদের নিয়োগপত্রে লেখা রয়েছে স্থায়ী, অথচ অস্থায়ী কর্মী হিসেবেই বেতন পান তাঁরা। |
• বিভাগ বেড়েছে, ছাত্রসংখ্যা বেড়েছে, অথচ শিক্ষক বা টেকনিশিয়ানদের সংখ্যা বাড়েনি। |
|
বিক্ষোভকারীদের তরফে দুই শিক্ষক শৌভিক ভট্টাচার্য ও পার্থপ্রতীম সরকার এবং ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রীতম দে-র অভিযোগ, “আমাদের বারবার অসম্মান করা হয়েছে। এ দিন উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকারকে ফোন করে বলেছিলাম, আমরা দাবিগুলি নিয়ে তাঁর কাছে স্মারকলিপি দিতে চাই। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, ধর্মঘট প্রত্যাহার না করলে দেখা করবেন না। আমরা তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট বজায় রাখছি।”
শিক্ষকদের পদোন্নতি এবং টেকনিশিয়ানদের অস্থায়ী পদের বেতনের বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে কিছুই বলব না। আপনারা ইউআইটিতে গিয়ে খবর জোগাড় করুন।”
ইউআইটি চত্বরে গিয়ে দেখা গিয়েছে মূল প্রবেশপথের সামনে নানা ধরণের পোস্টার নিয়ে বসে রয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের প্রশ্ন, কেন ইউআইটির শিক্ষকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমতুল্য মর্যাদা পাচ্ছেন না? বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রতি বছর একটির পর একটি বিভাগ বাড়ছে। ছাত্রের সংখ্যাও বেড়েছে। কিন্তু শিক্ষক বা টেকনিশিয়ানদের সংখ্যা বাড়েনি। বাড়েনি তাঁদের বেতন বা মর্যাদাও। এ দিন সন্ধ্যা পযর্ন্ত বিক্ষোভ চলতে দেখা গিয়েছে।
বিক্ষোভের জেরে ইউআইটির হস্টেল বা বাইরে থেকে ক্লাস করতে আসা ছাত্রছাত্রীদের ফিরে যেতে হয়। বুধবার ক্লাস হবে কি না, সে প্রশ্নেরও উত্তর পাননি তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকেরাও তাঁদের কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি। ছাত্রদের দাবি, পরীক্ষার আগে প্রাকটিক্যাল ক্লাসগুলি না হওয়ায় সমস্যা হবে। তবে ছাত্রদের সমস্যার কথা মানতে চাননি বিক্ষোভকারীরা। পার্থপ্রতীমবাবু বলেন, “আমরা ছাত্রদের ক্ষতির বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। যেটুকু সমস্যা হবে, আমরা তা বাড়তি উদ্যোগ করে মিটিয়ে ফেলব।” |
|
|
|
|
|