|
|
|
|
ব্যাঙ্কে-দোকানে পরপর চুরি, প্রশ্নের মুখে পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা |
কখনও দেওয়াল কেটে, আবার কখনও লোহার দরজা ভেঙে, রাতের আঁধারে একের পর এক দোকানে ঢুকে পড়ছে দুষ্কৃতীরা। খোওয়া যাচ্ছে নগদ টাকা, গয়না ও অন্যান্য জিনিসপত্র। চলতি মাসে কালনা মহকুমার একাধিক জায়গায় এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে আতঙ্কিত এলাকার মানুষজনও।
সমুদ্রগড় বাজারে এক বছর ধরে গয়নার দোকান রয়েছে দয়ালহরি মণ্ডলের। গত ১১ নভেম্বর সকালে দোকান খুলতে গিয়ে তাঁর ছেলে দেখেন, দরজার তালা ভাঙা, তছনছ হয়ে পড়ে রয়েছে লোহার সিন্দুক ও অন্যান্য জিনিসপত্র। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে চিলেকোঠার ছাদের দরজা ভাঙা। ওখান দিয়েই দুষ্কৃতীরা ঢুকেছিল বলে পুলিশের অনুমান। সমুদ্রগড় জুয়েলারি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক অলোক বিশ্বাসের দাবি, “গয়না ও নগদ মিলিয়ে লক্ষাধিক টাকার জিনিস চুরি গিয়েছে। তবে এখনও কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ।” |
|
এভাবে গেট ভেঙে চুরি। —নিজস্ব চিত্র। |
পূর্বস্থলীতে শুরু হলেও এরপর কালনা থানা এলাকায় দিন পনেরোর মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটে। ১২ নভেম্বর কালনা থানা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে সাহাপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির দরজার তালা ভাঙা দেখেন স্থানীয় মানুষ। ওই সমবায়ের কর্তারা পুলিশকে জানান, বেশ কয়েক হাজার টাকা , দু’টি কম্পিউটার ও দু’কুইন্ট্যাল ওজনের কাঁসা-পিতলের বাসন চুরি গিয়েছে। ওই ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কালনা ২ ব্লকের নেপাকুলি এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভল্ট ভেঙে লক্ষাধিক টাকা চুরি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ব্যাঙ্কের দ্বিতল ভবনের ছাদের পাঁচিল ভেঙে দুষ্কৃতীরা ভেতরে ঢোকে। তারপর নীচে নেমে বেশ কয়েকটি সিসিটিভি-র সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ওই রাতেই হুগলির বলাগড়ের একটি ব্যাঙ্কেও এই দুষ্কৃতীদের দলটি লুঠপাট চালায় বলে কালনা থানার আধিকারিকেরা জানান। সেখানেও কয়েক লক্ষ টাকা চুরি যায়। তবে ঘটনার দিন দশেক পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ২২ নভেম্বর রাতে কালনা ২ ব্লকের ফের তিনটি চুরির ঘটনা ঘটে। একটি কোঅপারেটিভ এগ্রিকালচারাল সোসাইটিতে ও দু’টি গয়না দোকানে। পরের দিন ঘটনাটি জানাজানি হতেই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দোষিদের গ্রেফতারের দাবিতে কালনা-বৈচি রোড অবরোধ করেন। সম্প্রতি এই ঘটনাতে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
বারবার কেন এমন ঘটনা ঘটছে? কালনা মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “দুষ্কৃতীদের একাধিক দল সক্রিয় হয়ে ওঠায় ঘটনাগুলি ঘটছে। দোষিদের ধরার চেষ্টা চলছে।” পুলিশের দাবি, ব্যাঙ্কে চুরিতে যারা যুক্ত তারা অত্যন্ত পরিকল্পনা মাফিক কাজটি করেছে। ভল্ট ভাঙার লোক থাকায় একই রাতে দু’টি ব্যাঙ্কে লুঠ চালাতে পারে তারা। |
|
|
|
|
|