|
|
|
|
খাবারে পোকা, ঘেরাও অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
নিম্নমানের খাবারের অভিযোগ তুলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকাদের দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার কাটোয়া ২ ব্লকের নন্দীগ্রামের পশ্চিমপাড়ার ঘটনা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, একে তো খিচুড়ি নেই, তার উপর ডালেও পোকা ভাসছিল। পরে অবশ্য স্থানীয় সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আধিকারিকেরা (সিডিপিও) ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। ছাড়া পান কর্মী ও সহায়িকারাও। ওই ব্লকের সিডিপিও শরৎ হাজরা বলেন, “আমরা পুরো বিয়য়টি তদন্ত করে দেখব। ওই ডাল আদৌ আমাদের কি না, কেনই বা খিচুড়ি দেওয়া হল না, তা ও জানব।” |
|
খারাপ ডাল হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র। |
ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ১৫ জন গর্ভবতী-সহ ৬৬ জন রয়েছেন। পরিপূরক পুষ্টি খাদ্য হিসেবে তাঁদের প্রতিদিন খিচুড়ি, প্রসূতিদের একটা ডিম ও শিশুদের অর্ধেক ডিম দেওয়ার কথা। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, ডিম দেওয়া তো কবেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শনিবার থেকে রান্নাও হয়নি। মঙ্গলবার রান্না হলেও খিচুড়ি দেওয়া হয়নি। পরিপূরক পুষ্টি খাদ্যে এ দিন স্রেফ ডাল আর সব্জি ছিল বলে তাঁদের দাবি। প্রসূতি মন্দিরা পাত্র, অভিভাবক লক্ষী পোড়েল, বীথিকা পাকড়েদের অভিযোগ, প্রায় দিনই নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। খাবারে পোকাও থাকে। এ দিনও ডালের উপরে পোকা ভাসছিল। আমাদের সেই ডালই খেতে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের দাবি, “অঙ্গনওয়াড়ির দিদিমণিরা আমাদের কথা শুনতোই না, আজ হাতনাতে ধরা পড়ে গিয়েছে’’।
ঘটনার পরেই এলাকার বাসিন্দারা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা মধুবালা রাণু ও কর্মী দীপা রায়কে ঘেরাও করে রাখেন। নিম্নমানের খাবার কেন দেওয়া হল তার জবাবও চান। তার সঙ্গে সিডিপিওকে আসতে হবে বলে দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা।
তবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা ও কর্মীরা বলেন, রান্না করার আগে বুঝতে পারিনি ডালে পোকা ছিল। পরে দেখি ডালের উপর পোকা ভাসছে। আর সিডিপিও দফতর থেকে চাল আসেনি বলে খিচুড়ি রান্না করা যায়নি বলে জানান তাঁরা। তাঁদের আরও দাবি, মাথা পিছু যে টাকা বরাদ্দ তাতে ডিম কেনা অসম্ভব। সিডিপিও জানান, ওই কেন্দ্রে চাল কেন নেই তা খোঁজ নেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|