|
এ বার চাহিদা বেড়েছে টিকিটের |
আজ শুরু নৈশ ফুটবল
সংগ্রাম সিংহ রায় • শিলিগুড়ি |
|
শীতের আসতে না আসতেই এলাকার সবচেয়ে পুরনো ফুটবল টুর্নামেন্টকে ঘিরে মেতে উঠেছে শহর শিলিগুড়ি। আলোয় সেজেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম। মাঠের ঘাস ছেঁটে প্রস্তুতি শেষ। আজ, মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে কিরণচন্দ্র স্মৃতি নৈশ ফুটবল প্রতিযোগিতা। এ বছর আগের তুলনায় টিকিটের চাহিদাও বেড়েছে। ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ বলেন, “আমরা আয়োজনের খামতি রাখতে চাই না।” খেলা চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা ৬ টা থেকে।
এ বছর দশটি দল যোগ দিচ্ছে। অনেক দিন পর এ বছর এই ফুটবলকে ঘিরে উন্মাদনার আরেকটা কারণ ফ্লাড লাইটে ম্যাচ। আগে মাঠে বাঁশের পরিকাঠামো তৈরি করে আলো লাগিয়ে আলোর ব্যবস্থা করা হত। তার সঙ্গে অবশ্য ফ্লাড লাইটের তুলনা চলে না। গত বছর থেকে ফ্লাড লাইটে-ই খেলা হচ্ছে। তাতে পুরনো জৌলুস অনেকটাই ফিরছে বলে মনে করছেন শহরের ফুটবলপ্রেমীরা।
নক-আউট এই টুর্নামেন্টে এ বারেও ফেভারিট গতবারের চ্যাম্পিয়ন শিলিগুড়ি উল্কা ক্লাব। অন্য দলগুলির মধ্যেও এ বার লড়াইয়ের ইঙ্গিত রয়েছে। অনেক ক্লাব খরচ করে দল করেছে। গতবারের রানার্স জিটিএস, বিবেকানন্দ ক্লাব, বাঘাযতীন অ্যথলেটিক ক্লাবও সেই ভাবে প্রস্তুত হয়েছে। পিছিয়ে নেই মহানন্দা স্পোর্টিং ক্লাব, কিশোর সঙ্ঘ, দেশবন্ধু স্পোর্টিং ইউনিয়ন, আঠারোখাই সরোজিনী সংঘ, স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সাই) এবং কার্শিয়াঙের ইউনাইটেড কার্শিয়াং ফুটবল ক্লাবও।
ক্রীড়া পরিষদ সূত্রে খবর, প্রায় ৫০ বছরের পুরনো এই প্রতিযোগিতা শুরুর সময় কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের নাম ছিল তিলক ময়দান। টিনে ঘেরা মাঠে বাঁশের মাচায় আলো বেঁধে খেলা হত। পরে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম তৈরি হওয়ার পরেও এই ভাবেই খেলা হচ্ছিল। গত মরসুমে পাকাপাকি ভাবে ফ্লাড লাইটের ব্যবস্থা হয়। এর আগে কলকাতার এরিয়ান, রেলওয়ে এফসির মত নামী দলও এই টুর্নামেন্টে খেলে গিয়েছে। তরুণ মুখিয়া, সুরজিৎ সেনগুপ্তর মতো কলকতার ময়দানের নামকরা ফুটবলাররাও বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলতেন এই টুর্নামেন্টে। সেই জৌলুস ফের ফিরিয়ে আনতে চায় মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ।
এ বছর স্থানীয় দলগুলির দিকেই নজর দিয়েছেন তারা। পরিষদ সচিব বলেন, “শিলিগুড়িবাসীকে দিনরাতের ফুটবল প্রথম উপহার দিয়েছে এই ঐতিহ্যপূর্ণ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এখনও এই প্রতিযোগিতীর জন্য মুখিয়ে থাকেন শহরের ফুটবলপ্রেমীরা।” |