লাঠি-চালনা ঘিরে ক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদন |
টেট পরীক্ষায় পাশ করতে না পারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিধায়ক। সোমবার দুপুরে ফালাকাটার বিধায়ক তথা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সদস্য অনিল অধিকারীর গাড়ি আটক করে জলপাইগুড়িতে বিক্ষোভ দেখায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। তাঁদের অভিযোগ, বিধায়কের গাড়িকে রাস্তা করে দিয়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপরে লাঠি চালিয়েছে। যদিও জেলা পুলিশের তরফে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। শুধুমাত্র শাসক দলের ঘনিষ্ঠরাই টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে বলে অভিযোগ করে এ দিন জেলা প্রাথমিক স্কুল সংসদ দফতরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরেও। জলপাইগুড়িতে এ দিন বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ টেটে-এ অকৃতকার্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, ৪৫০ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে দশ জন টেট পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছেন। বাকিদেরও নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারী জেলাশাসক অফিসের দিকে যাওয়া শুরু করলে, তৃণমূল বিধায়কের গাড়ি সামনে চলে আসে। বিধায়ককে দেখেই মিছিল থেকে বিক্ষোভকারীরা ছুটে গিয়ে গাড়ি থামিয়ে দেয়। তাদের দাবি জানালেও, বিধায়ক বিষয়টি নিয়ে কোনও আশ্বাস দেননি বলে অভিযোগ করে প্রায় আধঘণ্টা বিধায়কের গাড়ি আটকে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ লাঠি চালানোর পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের টানাহ্যাঁচড়া করে বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের মুখপাত্র গুরুদাস রায় বলেন, “আমাদের সমস্যার কথা বলার সময়েই পুলিশ এসে লাঠি চালায়। মহিলাদের গায়ে হাত তোলা হয়। আমরা ঘটনার কথা বিভিন্ন মহলে জানিয়েছি।” যদিও বিধায়ক অনিলবাবু বলেন, “ওঁরা মিছিল থেকে এসে আমার গাড়ি আটকে দেয়। সংসদ সদস্য হলেও এ বিষয়ে আমার এক্তিয়ার নেই বলে জানালেও গাড়ি ছাড়ছিল না। সে সময়ে পুলিশ এসে বুঝিয়ে ওদের সরিয়ে দেয়।” এ দিনই জলপাইগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিরা এর পরে জেলা তৃণমূল ভবনে গিয়ে মন্ত্রী গৌতম দেব ও বিধায়ক অনিল অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেন। এক প্রতিনিধি দল জেলাশাসকের সঙ্গেও দেখা করে তাদের দাবি জানিয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “অভিযোগ শুনে খোঁজ নিয়ে জেনেছি। লাঠি চালনা বা টানাহ্যাঁচড়ার ঘটনা ঘটেনি। তাঁদের বুঝিয়ে শান্ত করা হয়। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা কোনও অভিযোগ জানাননি।” |