জলপাইগুড়ির জয়ে ব্যবধান বাড়াল কংগ্রেস
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
জলপাইগুড়ির ১০ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে জয়ের মার্জিন বাড়াল কংগ্রেস। ২০১০ সালের পুরভোটে ওই ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী তারা রায় ৬২ ভোটে জিতেছিলেন। কাউন্সিলর তারাদেবীর মৃত্যুর পরে ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রয়াত কাউন্সিলরের আত্মীয় সুশীল সিংহ ১৬২ ভোটের ব্যবধানে সিপিএমের প্রার্থকে হারিয়েছেন। গতবারের থেকে কিছু ভোট বাড়ালেও তৃণমূল প্রার্থী তিন নম্বরে ছিলেন। গত নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ৩৩২ ভোট পেলেও উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী জয়দেব দেবশর্মা ৩৯৯টি ভোট পেয়েছেন।
ওয়ার্ডের উপনির্বাচনের আগে জেলা কংগ্রেসের প্রথম সারির দুই নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায় এবং সন্দীপ মাহাতো তৃণমূলে যোগ দেওয়ায়, উপনির্বাচনের ফল নিয়ে শহরে আগ্রহ তৈরি হয়। যদিও ফলে তার কোনও প্রভাব পড়েনি বলেই কংগ্রেস সূত্রে দাবি করা হয়েছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “জনগণই শেষ কথা বললেন। কংগ্রেস কখনও দুর্বল হয় না। আর জলপাইগুড়িবাসী যে কংগ্রেসের উপরেই আস্থা রাখে এই ফল তা ফের প্রমাণ করেছেন।” |
জলপাইগুড়িতে জয়ের পরে কংগ্রেসের উচ্ছ্বাস। ছবি: সন্দীপ পাল। |
প্রসঙ্গত উপনির্বাচনের ফল বেরোনোর দিনই সৈকতবাবুকে তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সৈকতবাবু বলেন, “দল যে দায়িত্ব দেবে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। তবে উপনির্বাচনের আগে প্রচার করার বেশি সময় পাইনি। যদিও দলের ভোট বেড়েছে। এটাই আমাদের প্রাপ্তি।” জেলা তৃণমূল সভাপতি চন্দন ভৌমিক বলেন, “আমরা বিগত দিনেও একাই লড়েছি। এ বারও প্রচেষ্টার কোনও খামতি ছিল না। তবে সংগঠনে কোথায় খামতি ছিল তা চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে। আগামী দিনে আমরা সেই মত পদক্ষেপ করব।” যদিও কংগ্রেসের শহর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “এই ফল আমাদী দিনে আমাদের আরও প্রেরণা জোগাবে।” জয়ের জন্য এ দিন ওয়ার্ডবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রয়াত কাউন্সিলের উদ্দেশ্যে জয় উৎসর্গ করেছেন জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী সুশীলবাবু। |