প্রায় তিন বছর রাজ্যের কলেজগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি বলে কলেজ সার্ভিস কমিশন বা সিএসসি সূত্রের খবর। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে কলেজ শিক্ষক নিয়োগের কাজ শুরু করতে চলেছে। এপ্রিলের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার কথা ভাবা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজেই সোমবার বিধানসভায় এ কথা জানান। শিক্ষক নিয়োগ শেষ হলেই অধ্যক্ষ-পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য কলেজ সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র এ দিন জানতে চান, আংশিক ও চুক্তিভিত্তিক কলেজ শিক্ষকদের স্থায়ী করার ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনা কী?
শিক্ষামন্ত্রী জানান, তাঁরা আংশিক ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ভাবছেন। তবে তার প্রক্রিয়া কী হবে, সেই বিষয়ে তিনি স্পষ্ট কিছু জানাননি। ব্রাত্যবাবু বলেন, “ওই শিক্ষকদের স্থায়ী করার ব্যাপারে অনেক সময়েই পরিচালন সমিতির তরফে আপত্তি তোলা হয়। বহু ক্ষেত্রে ওই সব শিক্ষক পূর্ণ সময়ের শিক্ষকদের সঙ্গে এক ঘরে বসারও সুযোগ পান না। নানা ভাবে তাঁদের খাটো করে দেখা হয়। এটা খুবই বেদনাদায়ক।” তার পরেই তিনি যোগ করেন, “আমরা আংশিক ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের সামাজিক সম্মান বাড়ানোর চেষ্টা করছি।”
মন্ত্রী জানান, পাঁচ বছরের কম সময় কাজ করছেন, এমন আংশিক সময়ের শিক্ষকেরা বর্তমানে ৯৪৫০ টাকা; পাঁচ বছরের বেশি যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা ১০,৮০০ টাকা এবং যাঁরা ১০ বছরের বেশি কাজ করছেন, তাঁরা ১৩, ৫০০ টাকা বেতন পাচ্ছেন। আর চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত শিক্ষকদের মাসে ২১,৪০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত শিক্ষকদের এককালীন ১০ শতাংশ অতিরিক্ত বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতি তিন বছর অন্তর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের কলেজে চাকরি পাওয়ার সমস্যা নিয়েও এ দিন প্রশ্ন ওঠে বিধানসভায়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “উচ্চশিক্ষায় চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের কোনও বাধা রয়েছে বলে আমার মনে হয় না। যদি তেমন অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তা হলে স্কুলশিক্ষার মতো কলেজেও প্রতিবন্ধীদের কোটার ব্যাপারে সরকারি নীতি তৈরি করা হবে।” |