লরির ধাক্কায় এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে সোমবার উত্তেজনা ছড়াল মধ্যমগ্রামে। ছাত্রীর দেহ আটকে বিক্ষোভ, ভাঙচুর করল জনতা।
পুলিশ জানায়, বিকেলে নাজিরা খাতুন (১৭) নামে ওই ছাত্রী সাইকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। কাঞ্চনতলা মোড়ের কাছে রাস্তার পাশে রাখা বালির উপরে সাইকেলটি উঠে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাইকেল-সহ ছিটকে পড়ে সে। তখনই পিছন থেকে আসা একটি লরি পিষে দেয় তার মাথা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
এর পরেই বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়েরা। দুর্ঘটনাস্থল সংলগ্ন একটি বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেন তাঁরা। পুলিশ জানায়, ওই বাড়ির মালিক নিকুঞ্জ কর্মকারই রাস্তার ধারে বালি ফেলে রেখেছিলেন বলে এলাকার মানুষের অভিযোগ। নিকুঞ্জবাবুর মোটরসাইকেলটিতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামলাতে বাদু ফাঁড়ি থেকে সাত জন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। তাদের লক্ষ করে ইট ছোড়া হয়। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের দু’টি গাড়ি। সেই গাড়িও আটকে দেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবি, দমকলকে ফিরে যেতে হবে। দু’জন দমকলকর্মীকে রাস্তায় ফেলে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আশপাশের তিনটি থানার পুলিশ ও র্যাফ-বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ জানায়, এর পরেই দুর্ঘটনায় মৃত ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। জখম দুই দমকলকর্মীকে বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকায় পুলিশি টহলদারি রয়েছে। তবে রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। |