পরিমাণে কম কেরোসিন দেওয়া কেন্দ্র করে ডিলারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রাহকেরা। ডিলারকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার সকালে বসিরহাটের সংগ্রামপুর পূর্বপাড়ায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালে খবর পেয়ে মহকুমা খাদ্য দফতরের কয়েকজন আধিকারিক ঘটনাস্থলে যান। গ্রাহকদের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় দোকানের তেল মাপার পাত্রগুলি বাজয়াপ্ত করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকান। মহকুমা খাদ্য আধিকারিক অরবিন্দ সরকার বলেন, “কেরোসিন কম দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মনোরঞ্জন সর্দার নামে ওই ডিলারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
পুলিশ ও খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, সংগ্রামপুরের পূর্বপাড়ার ওই ডিলারের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরে কেরোসিন কম দেওয়ার অভিযোগ করে আসছিলেন গ্রাহকেরা। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন তাঁরা। এ দিন সকালে তেল দেওয়া শুরু হলে গ্রাহকরা তেল মাপার পাত্রটি পরীক্ষা করতে চান। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি বেধে যায়। দেবব্রত গঙ্গোপাধ্যায় ও সমীর বিশ্বাস নামে দু’জন গ্রাহক বলেন, “মনোরঞ্জনবাবু বেশ কিছুদিন ধরে কেরোসিন কম দিচ্ছিলেন। নিজের ইচ্ছামত দোকান খুলছিলেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করেও কোনও ফল হয়নি। এ দিন আমরা তেল মাপার পাত্রটি পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখি তা বেশ খানিকটা তোবড়ানো এবং সেই অংশে পিচ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেখা যায়, এর ফলে লিটার প্রতি প্রায় ২০০ গ্রাম তেল কম পাচ্ছি আমরা। খবর দেওয়া হয় খাদ্য দফতরে।”
মহকুমা খাদ্য দফতরের ইন্সপেক্টর আব্দার রহমান বলেন, “বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ খবর পেয়ে মনোরঞ্জনবাবুর দোকানে গিয়ে দেখা যায় সেখানে কয়োকশো জনতা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছ। জনতার দাবিমত তেল মাপার পাত্রটি পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায় তলার অনেকটা অংশ তোবড়ানো এবং সেখানে পিচ লাগানো। পাত্রের কেন এমন অবস্থা তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি মনোরঞ্জনবাবু। তিনি ভুল স্বীকার করলেও গ্রাহকেরা তাঁর দোকান থেকে আর তেল নেবেন না বলে জানিয়ে দেওয়ায় এই বেনিয়মের বিষয়টি দফতরের পদস্থ কর্তাদের জানানো হয়েছে। তবে আপাতত দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
যদিও মনোরঞ্জনবাবুর বক্তব্য, “যে পাত্র দেখানো হয়েছে তা আমার দোকানে থাকলেও ব্যবহার করা হত না। এ দিন তেল দেওয়ার সময় সামান্য কম হওয়ায় তা নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে ফাঁসিয়ে খাদ্য দফতরে খবর দেওয়া হয়।” |