বহরমপুর পুরসভায় গত তিন বার সব আসনই পেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেসের পরে প্রধান শক্তি ছিল বামফ্রন্টই। এ বার তৃণমূল খাতা খুলতে পারলেও বামফ্রন্ট নেমে গিয়েছে তৃতীয় স্থানে।
বহরমপুরে ১৯৯৮ সালের পুরভোটে কংগ্রেস পেয়েছিল ২৫টি ওয়ার্ডের সব ক’টি। শতকরা হিসাবে ভোট পেয়ছিল ৬৩.৫৮ ভাগ। এ বার সে ক্ষেত্রে পেয়েছে শতকরা ৫৯.৬৯ ভাগ। অর্থাৎ ৩.৮৮ ভাগ কম। অন্য দিকে গতবার বামফ্রন্ট পেয়েছিল শতকরা ২৪.৫৮ ভোট। এ বার সেখানে শতকরা ১৪.৪৭ ভাগ কমে দাঁড়িয়েছ ১০.১১ ভাগ। তৃণমূল গত বার পেয়েছিল শতকরা ২.৮ ভাগ। সেক্ষেত্রে এবার শতকরা ১৫.২৩ ভাগ ভোট বাড়িয়ে তৃণমূল পেয়েছে শরকরা ২৮.০৩ ভাগ। ওই পরিসংখ্যান দেখিয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দাবি, “১৯৯৮ সালে শতকরা ৮৪ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছিল। তাতে কংগ্রেস পেয়েছিল ৬৩ ভাগ ভোট। এ বার ৮০ শতাংশ ভোটার ভোট দেওয়ায় কংগ্রেস পেয়েছে ৬০ শতাংশ ভোট। বামফ্রন্টের অধিকাংশ ভোট তৃণমূল পেয়েছে। তাই এ রকম ফলাফল।” |
বহরমপুরে তৃণমূলের কোনও সংগঠন নেই। তৃণমূলের ওই দুই প্রার্থী ব্যক্তিগত ক্যারিশমায় জয়ী হয়েছেন।
অধীর চৌধুরী, জেলা কংগ্রেস সভাপতি |
সাংগঠনিক ত্রুটির কারণে বামফ্রন্টের ভোট ধরে রাখা যায়নি। মানুষ কংগ্রেস বিরোধী ভোট তৃণমূলকে দিয়েছেন।
মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য, সিপিএমের জেলা সম্পাদক |
দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধেও লড়তে হয়েছে। ঐক্যবদ্ধভাবে লড়লে ১০টি আসনে জয় পেত তৃণমূল।
হুমায়ুন কবীর, জেলা তৃণমূলের নির্বাহী সম্পাদক |
ফলাফল এক নজরে
সবিস্তার... |
|
সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক তথা জেলা বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান মৃগাঙ্গ ভট্টাচার্য বলেন,“বহরমপুরের বামফ্রন্ট বরাবর দুর্বল। কিন্তু এতটা খারাপ ফল হবে ভাবিনি। এই শহরের মানুষ কংগ্রেসের বিকল্প হিসাবে আমাদের বদলে তৃণমূলকেই বেছে নিয়েছেন। তাই এ রকম ফলাফল।” পুরভোটের ফলাফল লোকসভাতে ভাল ছাপ ফেলবে বলে দাবি করেন হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, “আসন্ন লোকসভা ভোটে বহরমপুর পুরভোটে তৃণমূলের সাফল্য ভাল প্রভাব ফেলবে।” |