|
|
|
|
তমলুকে চাষিদের মিনিকিট বিলি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বন্যা কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের বোরোধান চাষের জন্য বীজধান ও মিনিকিট বিলি চলছেই। সোমবার তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে বীজধান ও সারের মিনিকিট বিলি কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন তমলুকের পদুমপুর-২, উত্তর সোনামুই ও পিপুলবেড়িয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৫ হাজার কৃষককে ৬ কিলোগ্রাম বীজধান ও ১০ কিলোগ্রাম সারের মিনিকিট দেওয়া হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবু বলেন, “পাঁশকুড়ার রানিহাটিতে কাঁসাইয়ের ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতির জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও খড়্গপুর আইআইটির বিশেষজ্ঞদের দেওয়া সুপারিশ অনুযায়ী কাজ হবে।” তিনি আরও বলেন, “কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙে পাঁশকুড়া, তমলুক ও নন্দকুমার ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এখনও ২০-২৫টি মৌজা জলে ডুবে রয়েছে। বন্যার জেরে তমলুক ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েত এলাকার আর্থিক মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আসন্ন বোরোধান চাষে সাহায্য করার জন্যই এই উদ্যোগ। এজন্য কৃষিদফতরের পক্ষ থেকে বীজধান ও সার দেওয়া হচ্ছে।” |
|
এইচডিএ-র অনুষ্ঠানে সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। |
শুভেন্দবাবু জানান, প্লাবিত এলাকা থেকে সেচ দফতরের উদ্যোগে পাম্প বসিয়ে জল বের করার কাজ শুরু হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি নির্মাণের জন্য ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়া তমলুক ও নন্দকুমার ব্লকের ক্ষতিগ্রস্ত ১৫টি মোরাম রাস্তা মেরামতির জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে কিছু পাকা রাস্তা তৈরির কাজও করা হবে। জেলা কৃষি দফতরের উপ অধিকর্তা প্রণবেশ বেরা জানান, বিনামূল্যে মোট ১ লক্ষ ৮৫ হাজার মিনিকিট বিলি করা হবে। এর মধ্যে তমলুকে ২৭ হাজার, পাঁশকুড়ায় ১৮ হাজার ও নন্দকুমার ব্লকে ১৫ হাজার মিনিকিট বিলি করা হবে। আরও ২০ হাজার মিনিকিট চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এ দিন তমলুকের নোনাকুড়িবাজারে ও কোলাঘাটের দেউলিয়া হীরারাম উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ আয়োজিত দু’টি পৃথক অনুষ্ঠানে একাধিক পাকা রাস্তা ও সেতু নির্মাণ কাজের সূচনা করেন শুভেন্দুবাবু। |
|
|
|
|
|