|
|
|
|
জাহিরের ফেরার পিছনে রাগবি, ফল আর শাক-সবজি
নিজস্ব প্রতিবেদন |
দু’বছর আগেই তাঁকে দেখে মাইকেল হোল্ডিং চেঁচিয়ে ওঠেন, ‘‘আনফিট!’’ ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্ট সেটা। কোমরে মেদ দেখে। আর এখন তাঁকে দেখলে মনে হবে সদ্য সেনাবাহিনীর অ্যাকাডেমি থেকে বেরনো তরুণ। এতটাই ওজন ঝরিয়ে ফেলেছেন। রান আপে পরিবর্তন হয়নি, পাল্টে গিয়েছে তাঁর ফিটনেস। এখন যিনি চোটের তোয়াক্কা না করেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বল করে যেতে পারেন। তিনিজাহির খান দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টিম ইন্ডিয়ায় ফেরার ডাক পেয়েছেন এতে আর আশ্চর্য কী!
কী ভাবে নিজেকে পাল্টে ফেললেন জাহির? জবাবটা দিচ্ছেন জাতীয় অ্যাকাডেমির অন্যতম কোচ আশিস কৌশিক। শুধু জাহির নন, যুবরাজ সিংহেরও ফিটনেসে আমূল উন্নতির পিছনে স্কটল্যান্ডের এক প্রাক্তন রাগবি প্লেয়ার। যিনি বর্তমানে অ্যাথলেটিক পারফরম্যান্স কোচ। টিম এক্সিটার। দক্ষিণ ফ্রান্সে যাঁর সেন্টারে ছ’সপ্তাহ ট্রেনিং করেই ফিটনেসের শীর্ষে দুই তারকা ক্রিকেটার। |
|
ট্রেনিংয়ের রহস্যটা ফাঁস করছেন এক্সিটার স্বয়ং। বলেছেন, “প্রথমেই খাওয়ার নিয়ম বেঁধে দিয়েছিলাম। পাস্তা আর পাউরুটির বদলে মাছ আর টাটকা শাক-সবজির মতো প্রোটিনযুক্ত খাবার। সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফল। সোজা কথা, অতিরিক্ত ক্যালোরি নেওয়া যাবে না।” কোচ-অ্যাথলিট সম্পর্কটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। “পেশাদার অ্যাথলিটের মতো জাহির ওর শরীরকে খুব ভাল জানে। বুঝতে পারে ওর ঠিক কী চাই। তাই খুব দ্রুত কয়েকটা বিষয় রপ্ত করে ফেলেছিল,” একটি ওয়েবসাইটে বলেছেন এক্সিটার।
বোলিং রান আপে খুব বেশি শক্তি খরচ না করে দ্রুত দৌড়নোর কৌশলও আয়ত্ত করেছেন জাহির। এক্সিটার বলছেন, “জাহিরের রান আপের শেষ দিকে ও বড় লাফ দিয়ে বলটা ছাড়ে। তাতে ডান পায়ের উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। তাই কোমরের শক্তি বাড়াতে জোর দিয়েছিলাম। যাতে ওর বোলিংয়ে একটা ইতিবাচক ছাপ পড়ে আর পিঠের নীচে চাপটাও কম হয়।”
মাসখানেকের মধ্যেই পাঁচ কেজি ঝরিয়ে ফেলেন জাহির। রান আপে আসে ক্ষিপ্রতা। চলতি রঞ্জি মরসুমে জাহিরের ফিটনেসে উন্নতির ছাপ ধরা পড়ছে। মুম্বই রঞ্জি টিমের কোচ সুলক্ষ্মণ কুলকার্নি বলেছেন, “পাঁচটা রঞ্জি ম্যাচে ও প্রায় দেড়শো ওভার বল করেছে। এক বারের জন্যও শুশ্রূষার জন্য আসেনি। এখন জাহির টিমের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটার।” |
|
|
|
|
|