|
|
|
|
ফ্রেট করিডরের জমি মাপতে বাধা, ফিরতে হল প্রশাসনকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিঙ্গুর |
জমি মাপতে গিয়ে গ্রামবাসীর বাধায় ফিরতে হল রেল এবং রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের। ঘটনাস্থল, রাজ্যের জমি আন্দোলনের অন্যতম ধাত্রীভূমি সিঙ্গুর। চাকরি এবং ক্ষতিপূরণের নির্দিষ্ট লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়া জমি মাপতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে
দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী অবশ্য বলেন, “এই প্রকল্পে চাকরি দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই।” |
|
বলরামবাটি স্টেশনে বিক্ষোভ। সোমবার। —নিজস্ব চিত্র। |
প্রশাসন সূত্রের খবর, একাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পণ্য পরিবহণের জন্য ‘ফ্রেট করিডর’ গড়ছে রেল মন্ত্রক। পূর্বাঞ্চলে তার বিস্তার লুধিয়ানা থেকে ডানকুনি পর্যন্ত। ‘ফ্রেট করিডর’-এ সিঙ্গুর লাগোয়া তিনটি মৌজায় সম্প্রতি রেল এবং রাজ্য সরকার জমি মাপার কাজ শুরু করেছে। বারুইপাড়ায় ওই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সিঙ্গুরের রামনগর, মির্জাপুর-বাঁকিপুর এবং বলরামবাটি অংশে এখনও সেই কাজ করা যায়নি। ইতিমধ্যেই সেখানে ‘বাসস্থান ও জীবিকা নির্বাহ রক্ষা কমিটি’ গড়ে তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রেল সূত্রের খবর, প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবিত জমির নক্শায় অন্তত ৭০-৭৫টি পরিবারের জমি, দোকানঘর এবং বাড়ি পড়তে পারে।
কমিটির সম্পাদক অনুপ দাস বলেন, “আমরা ‘ফ্রেট করিডর’-এর বিরুদ্ধে নই। কিন্তু রেল বা রাজ্য সরকারের তরফে আমাদের নির্দিষ্ট করে ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি সংক্রান্ত দাবির বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে না। আমরা জমি মাপতে দিতেও রাজি আছি। সে ক্ষেত্রে আগে রাজ্য বা রেলকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে, মাপজোক করা মানেই জমি অধিগ্রহণ নয়। গ্রামবাসীদের দাবি মেনেই তাদের কাজ করতে হবে।”
ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে গ্রামবাসী, রেল এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের মধ্যে সিঙ্গুর ব্লক অফিসে দু’দফায় বৈঠক হয়েছে। চলতি মাসের ১৪ তারিখে বৈঠকে গ্রামবাসীরা চাকরি এবং ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিয়ে আধিকারিকদের কাছে দাবি জানান। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বৈঠকের পরেও রেল কর্তৃপক্ষ নিজেদের বক্তব্য ‘স্পষ্ট’ করছেন না।
রীতিমতো পোস্টার হাতে মহিলা, শিশুদের নিয়ে এ দিন গ্রামবাসীরা বলরামবাটি স্টেশন চত্বরে হাজির হন নিজেদের দাবি জানাতে। জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা এ বিষয়ে বলেন, “গ্রামবাসীদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আমরা কথা বলেছি। পুরো বিষয়টি আলোচনা করে মেটানোর চেষ্টা চলছে।” রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এ দিন সিঙ্গুরে গিয়েছিলেন রেলওয়ে বিকাশ নিগমের আধিকারিকেরা। গ্রামবাসীদের বাধার বিষয়টি তাঁরা রেল বোর্ড-কে জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|