|
|
|
|
মহিলার রহস্য-মৃত্যু, উত্তেজনা লখিমপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
রহস্যজনকভাবে এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল লখিমপুর। ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার বিকেলে।
পুলিশ জানায়, বগী নদীর পাশে এক মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁর একটি চোখ প্রায় বের হয়ে এসেছিল। দেহে আঘাতেরও চিহ্ন ছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে গতকাল তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন দুপুরে বছর তিরিশের মহিলা তাঁর মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন। পরে তাঁর সংজ্ঞাহীন দেহ উদ্ধার করা হয়। বাসিন্দাদের দাবি, তিনি একটি টেম্পোয় উঠেছিলেন। সেটিতে চালক ছাড়াও দু’জন যাত্রী ছিল। অটোর মধ্যে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। পরে, তাঁকে মারধর করে, চোখ খুব্লে দিয়ে টেম্পো থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য, অনুমানের উপর ভিত্তি করেই জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। ঘটনাটি হত্যা না দুর্ঘটনা, তা নিশ্চিত নয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে আটক করা হয়েছে। গত কাল রাতে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে বগীনদী এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। আজ সকাল থেকে মৃতদেহ নিয়ে কয়েক হাজার মানুষ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। চলতে থাকে বিক্ষোভ। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা উপযুক্ত ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি সামলান। দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তাকে দ্রুত ময়না তদন্তের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
গুয়াহাটির দাঁতালপাড়া এলাকায় সাত বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে নূর আলি নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জনতা। মেয়েটির মা জানান, গতকাল বিকেল থেকে মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পড়শি নূর আলি অসুস্থ অবস্থায় তাকে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে যায়। মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে তিনি নূরের দুষ্কর্মের কথা জানতে পারেন। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও নূর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। |
|
|
|
|
|