|
|
|
|
আমাকেই সন্দেহ তদন্ত কমিটির, দাবি ইনটার্নের
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি |
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কমিটির কাছে তিনি হাজির হয়েছিলেন মাত্র এক দিন। প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুললেও আইনের সেই ইনটার্ন ছাত্রী আর ওই কমিটির মুখোমুখি হননি। এ বার তাঁর অভিযোগ, তিন সদস্যের ওই কমিটি তাঁকেই সন্দেহের চোখে দেখছে। তা ছাড়া আইনজীবী বলেই তিনি বুঝেছেন, মহিলাদের এই ধরনের অভিযোগে যতটা সংবেদনশীল হওয়া দরকার, ভারতীয় আইনে তেমন পরিসর নেই। আর সেই জন্যই প্রথমে ওই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে দ্বিধা হচ্ছিল তাঁর।
যে ওয়েবসাইটে ওই তরুণী প্রথম অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সেই ওয়েবসাইট মেয়েটির অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছে একটি মার্কিন দৈনিককেও। সেই সংবাদপত্রে ওই তরুণী দাবি করেন, “আইনি পথে এগোলেও কোনও সুরাহা হবে না, তা জানতাম। প্রথমত, বছর বছর ধরে মামলাটা চলবে। দ্বিতীয়ত, প্রতিপক্ষের আইনজীবী আদালতকক্ষে প্রতি মুহূর্তে সেই বিশ্রী স্মৃতি মনে করাবেন। যেটা আমি ধীরে ধীরে ভুলে যেতে চাই। তৃতীয়ত, যৌন নিগ্রহ প্রমাণ করা খুব মুশকিল। শব্দ নিয়ে লড়াই চলে।” এই প্রসঙ্গেই ওই মার্কিন দৈনিককে তরুণী বলেছেন, “ওই প্যানেলের সামনে গিয়েও মনে হয়েছে, সন্দেহপূর্ণ দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে আমায়। আমাকে ধারাবাহিক ভাবে এটা বোঝাতে হচ্ছে যে আমি মিথ্যে বলছি না। প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে কোনও গল্প তৈরি করিনি। সব মিলিয়ে আমার অপমানিত লাগছে।” মেয়েটির বক্তব্য, “এই ধরনের হেনস্থা সহ্য করতে হবে কেন? রাস্তাঘাটে, বাড়িতে, কাজের জায়গায় কেন আমাদের এমন অভিজ্ঞতা হতেই থাকবে? আমরা কী ভুল করেছি? মেয়েরা অভিযোগ তুললেই তাঁদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে।” তরুণী ইনটার্ন বলেন, তাঁর ওই অভিজ্ঞতার পাঁচ মাস পরে তিনি বাড়িতে ঘটনাটি জানাতে পেরেছিলেন। পরিবার কিন্তু পাশে দাঁড়ায়নি। মেয়েটি বলেছেন, “ঠাকুরমা বললেন, এটা নিয়ে হইচই করার কী আছে। আমাদের সবাইকেই কখনও না কখনও এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে! মা-ও বললেন, যা ঘটেছে সেটা খারাপ। কিন্তু সেটা মেনে নিয়েই এগোতে হবে।” |
|
|
 |
|
|