|
|
|
|
ট্রেনে স্কুলছাত্রীদের আসন দখল, তদন্তের নির্দেশ নীতীশের
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি ও পটনা |
ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় বৈধ যাত্রীদের আসন ‘দখল’ করার অভিযোগ বারবার উঠেছে বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো কিছু রাজ্যে।
একই পরিস্থিতির ‘শিকার’ হল ধানবাদের একটি মিশনারি স্কুলের শিক্ষিকা-ছাত্রীরা। পূর্ব-মধ্য রেলের ধানবাদ ডিভিশনে এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। রেল পুলিশের এডিজি পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। রেল সূত্রের খবর, কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে সাসপেন্ড ছ’জন জিআরপি জওয়ান।
আজ একটি অনুষ্ঠানে নীতীশ বলেন, “ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। রেলকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।” রেল সূত্রের খবর, তদন্ত করছেন রেল পুলিশের এডিজি পি এন রাই।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। রেল পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষামূলক ভ্রমণ সেরে রাতে পটনা থেকে গঙ্গা-দামোদর এক্সপ্রেসে ধানবাদ ফেরার কথা ছিল একটি স্কুলের শিক্ষিকা, ছাত্রীদের। দলে স্কুলটির ধানবাদ এবং ডিগওয়াডিহি শাখার ৯৩ জন ছাত্রী এবং ৫ জন শিক্ষিকা ছিলেন। ট্রেনের একটি স্লিপার (এস-১) এবং একটি বাতানুকূল (বি-১) কামরায় তাঁদের আসন সংরক্ষণ করা ছিল।
শিক্ষিকাদের অভিযোগ, বৈধ টিকিট থাকা স্বত্ত্বেও স্লিপার কামরায় উঠতে পারেননি কেউ-ই। পটনায় রেলের পরীক্ষা দিতে যাওয়া পরীক্ষার্থীরা প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল। ট্রেন ঢুকতেই শ’খানেক যুবক এস-১ কামরায় উঠে দরজা বন্ধ করে দেয়। এমনকী কটূক্তিও করা হয়। পটনা স্টেশনে জিআরপি-কে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই সকলে বাতানুকূল কামরায় উঠে যান। সারা রাত জেগে ধানবাদে পৌঁছন। রবিবার দুপুরে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধানবাদ স্টেশনে উত্তেজনা ছড়ায়।
পটনা রেল পুলিশের এসপি উপেন্দ্রকুমার সিনহা জানান, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ঘটনার রাতে ওই ট্রেনে জিআরপি ‘এসকর্ট পার্টি’র তিন জওয়ান, পটনা স্টেশনের জিআরপি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী এবং প্ল্যাটফর্মে টহলদার জওয়ানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে, স্কুলের শিক্ষিকা বা ছাত্রীদের হেনস্থা করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেছেন। |
|
|
|
|
|