জলপথে কয়লা পরিবহণ পরিষেবা চালু করল জিন্দল আইএফটি। সোমবার এর উদ্বোধন করেন জাহাজমন্ত্রী জি কে ভাসান। এতে জাহাজে আসা আমদানিকৃত কয়লা গভীর সমুদ্র থেকে পরিবহণ করে নিয়ে যাওয়া হবে ফরাক্কায় এনটিপিসি-র বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। জলপথে এ ধরনের পণ্য পরিবহণ পরিষেবা দেশে এই প্রথম। এর জন্য সংস্থা লগ্নি করেছে ৫০০ কোটি টাকা।
বঙ্গোপসাগরে ১ নম্বর জাতীয় জলপথ (গঙ্গা-ভাগীরথী হুগলি নদী) ধরে এই কয়লা পরিবহণ করা হবে। এ দিন একই সঙ্গে কলকাতায় একটি জেটিরও উদ্বোধন করেন ভাসান। ৩৮ কোটি টাকা খরচে ওই জেটি নির্মাণ করেছে ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (আইডব্লিউএআই)। সেখানে প্রধানত আমদানি শুল্কে ছাড়পত্র সংক্রান্ত কাজকর্ম হবে। কয়লা ছাড়াও ফ্লাই অ্যাশ, খাদ্যশস্য, ইস্পাত, সিমেন্ট এবং পাট পরিবহণে ব্যবহৃত হবে এই নতুন জেটি। |
সোমবারের উদ্বোধনে দু’টি নয়া বার্জ।—নিজস্ব চিত্র। |
ভাসান জানান, গঙ্গার পলি তোলার কাজের (ড্রেজিং) জন্য কেন্দ্রীয় ভর্তুকি আপাতত চালু থাকবে। তবে কলকাতা বন্দরের আয় বৃদ্ধির সঙ্গে তাল রেখে ক্রমশ তা গুটিয়ে নেওয়া হবে। এই অর্থবর্ষেও ড্রেজিং-এর জন্য ৪০০ কোটি টাকা ভর্তুকি পাবে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট।
জিন্দলদের চালু করা পরিষেবায় প্রথমে গভীর সমুদ্রে জাহাজে আসা আমদানি করা কয়লা বিশেষ জাহাজে স্থানান্তরিত করা হবে। তার পর ওই জাহাজ থেকে বার্জে করে কয়লা যাবে ফরাক্কায়। ২৩টি বার্জ এই কাজ করবে। পরিষেবাটি চালুর জন্য জিন্দল আইএফটি, আইডব্লিউএআই ও এনটিপিসির মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে। টন প্রতি কয়লা পরিবহণের জন্য ১৫ টাকা করে রয়্যালটি পাবে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টও। জিন্দল আইএফটির প্রেসিডেন্ট এম সি মাহেশ্বরী জানান, তাঁরা বিহারেও এই পরিষেবা চালু করতে আগ্রহী। |