টাওয়ার ইনফোটেকের সম্পত্তি বেচবে সেবি |
বেসরকারি অর্থ লগ্নি সংস্থা টাওয়ার ইনফোটেকের সব সম্পত্তি সেবি বিক্রি করবে বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিক্রি করে পাওয়া টাকা আমানতকারীদের ফিরিয়ে দিতে হবে। কোনও ভুয়ো আমানতকারী যাতে এই টাকা ফেরতের সুযোগ নিতে না-পারে, তা-ও নিশ্চিত করতে চান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রায়ে জানান, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও পশ্চিম বিহার, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, অসম, ঝাড়খণ্ড-সহ অন্য কয়েকটি রাজ্যে টাকা তুলেছে ইনফোটেক। প্রকৃত আমানতকারীদের সন্ধানে সেবি বিজ্ঞাপন দেবে। সেই বিজ্ঞাপন সব রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে পাঠানো হবে। টাওয়ার সংস্থার খরচে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে সর্বাধিক বিক্রীত সংবাদপত্রে ওই বিজ্ঞাপন দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন মুখ্যসচিবেরা। তাঁরাই ঠিক করবেন, কী ভাবে আমানতকারীদের তালিকা তৈরি হবে। টাওয়ারের অন্যতম কণর্ধার রমেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে তাঁদের স্থাবর সম্পত্তির তালিকা আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেবি আদালতে জানায়, কোনও কোনও রাজ্য ইতিমধ্যেই কিছু সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণের জন্য ভ্যালুয়ার নিয়োগ করেছে। হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ইনফোটেক এখন কোনও স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবে না। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে বা জমা দিতে পারবে না। গোপনে কোনও সম্পত্তি যাতে হস্তান্তরিত না-হয়, সে-দিকেও নজরে রাখতে বলেছে হাইকোর্ট। আগের শুনানির দিন বিচারপতি সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অর্গানাইজেশন (এসএফআইও)-কে সব তথ্য পাঠাতে বলেছিলেন। এ দিন এসএফআইও জানায়, তারা সব তথ্য খতিয়ে দেখে উঠতে পারেনি। বিচারপতি তাদের ১৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে বলেছেন। ৬ ডিসেম্বর ফের শুনানি হবে।
|
পূর্ণেন্দুর বিরুদ্ধে আপিল রাজ্যের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্য সরকার পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আপিল মামলা করল। রাজ্য যাতে শেয়ার বেচতে না-পারে, সেই আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে পূর্ণেন্দুবাবু মামলা করেছিলেন। শেয়ার বিক্রির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই আপিল মামলা করল। আজ মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানি হবে। |