উদ্দেশ্যে প্রণোদিত কারণে পড়ুয়াদের পোশাকের টাকা আটকে রাখা, অনিয়মিত হাজিরা, মিড-ডে মিল বন্ধ রাখা-সহ নানা অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের দফতরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকদের একাংশ। সোমবার ঘটনাটি ঘটে ময়ূরেশ্বরের বড়তুড়ি গ্রামহরি প্রসাদ হাইস্কুলে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অবশ্য ওই অভিযোগ মানেননি। বরং তাঁর পাল্টা অভিযোগ, অভিভাবকেরা নন, স্থানীয় কিছু যুবক মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে হেনস্থা করেছেন। অভিযোগ হয়নি।
স্কুল এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত অগস্ট মাসে ওই স্কুলে পড়ুয়াদের পোশাক কেনার জন্য সর্বশিক্ষা মিশন থেকে ২ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা (মাথা পিছু ৪০০ টাকা) স্কুলের তহবিলে জমা পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, বার বার বলা হলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওই টাকা বিলির কোনও উদ্যোগ নেননি। শুধু তাই নয়, উনি প্রায়ই প্রশাসনিক কাজের অজুহাত দেখিয়ে স্কুলে গরহাজির থাকেন। এমনকী মিড-ডে মিলের রান্নাও নিয়মিত করা হয় না। এ দিন মূলত, ওই সব অভিযোগের ভিত্তিতেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দফতরে সকাল ১০টা নাগাদ তালা ঝুলিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকদের একাংশ। এ দিন স্কুলে পরীক্ষাও ছিল। এর জেরে সাময়িক ভাবে পরীক্ষা পরিচালনায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। পড়ুয়াদের কথা ভেবেই বিক্ষোভকারীরা তালা খুলে দেন।
স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি আল্লাউদ্দিন শেখের দাবি, “আমরাও দীর্ঘ দিন ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ওই সব অভিযোগের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের কথা কানেই তোলেননি।” ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ নইমুদ্দিন অবশ্য দাবি করেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। আসলে স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়তেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে শীঘ্রই ছাত্রছাত্রীদের পোশাকের টাকা দেওয়া শুরু হবে।” তিনি আরও দাবি করেন, “গত সেপ্টেম্বর মাসে সমস্ত শিক্ষক প্রশিক্ষণে চলে যাওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। সে জন্য সপ্তাহ খানেক মাত্র মিড-ডে মিল বন্ধ রাখা হয়েছিল। আর প্রশাসনিক কাজে আমাকে বিভিন্ন সরকারি দফতরে ছোটাছুটি করতে হয়। এর জন্য ওই সব দিনগুলিতে আমাকে স্কুলে গরহাজির থাকতে হয়।”
জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যামিক) আসরাফ আলি মির্জা বলেন, “ওই অভিযোগের বিষয়ে কিছু জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে, খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।” |