রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে বন্ধ থাকা পুরুলিয়া হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ সম্প্রতি পরিদর্শন করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক প্রতিনিধিদল। ওই দলটি মূলত মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো সম্পর্কে বিশদে খোঁজ নেয়। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “স্বাস্থ্য দফতর ওই মেডিক্যাল কলেজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে রিপোর্ট চেয়েছে। সে কারণেই সম্প্রতি পরিদর্শন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ চলছে।”
মূলত পরিকাঠামোগত সমস্যার কথা উল্লেখ করে ২০০৮ সালে ওই মেডিক্যাল কলেজে পঠনপাঠন বন্ধ করে দেয় সরকার। তার পর থেকে কলেজের শিক্ষক থেকে কর্মীরা বেতন পাননি। পুনরায় কলেজেটি খোলার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে নানা জায়গায় তাঁরা দাবি জানিয়ে আসছেন। পুরুলিয়া কেন্দ্র থেকে বিধায়ক পদে নিবার্চিত হয়ে এই কলেজটি চালুর ব্যাপারে উদ্যোগী হন তৃণমূলের কে পি সিংহ দেও। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলার বিধায়করা কলেজটি খোলার অনুরোধ জানান। জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী হুটমুড়া স্কুল মাঠের প্রকাশ্য প্রশাসনিক সভায় ঘোষণা করেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই কলেজটি খোলার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তারপরেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ওই রিপোর্ট চাওয়া ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিদের কলেজ পরিদর্শনে আশার আলো দেখছেন কলেজটি সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। কলেজের অধ্যক্ষ মণীন্দ্রনাথ জানা বলেন, “রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ শুরু হয়েছে। আমাদের আশা ফের কলেজটি চালু করা হবে।”
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত পঠন-পাঠনের পরিকাঠামো নেই এই কারণেই ‘সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব হোমিওপ্যাথি’-র নির্দেশে এই কলেজটি বন্ধ হয়ে যায়। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আয়ুষ বিভাগের এক কর্তা বলেন, “ওই কলেজটি খোলার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। কী ভাবে পুনরায় কলেজটি চালু করা যাবে তা নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে।” |