অবশেষে ইমামদের সৌজন্যে সাফল্য পেল স্বাস্থ্য দফতর।রবিবার, এই প্রথম, সরকারি টিকাকরণ ও পালস পোলিও কর্মসূচিতে সামিল করানো গেল ফরাক্কার ৯টি পরিবারকে। ওই পরিবারগুলোর মোট ১০ জন শিশুকে এ দিন পোলিও খাওয়ানো হল। এই প্রথমবার।
ফরাক্কার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দীপায়ন মণ্ডল ও স্থানীয় বিডিও সুব্রত চক্রবর্তী বলছেন, “এতদিন আমরা যা পারিনি, এ বার সেটাই হল। ইমামরা যদি এভাবে এগিয়ে না আসতেন, তাহলে হয়তো সত্যিই এটা সম্ভব হত না।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরাক্কার বেশ কয়েকটি পরিবার সরকারী টিকাকরণ ও পালস পোলিও কর্মসূচি তে যোগ দিতেন না। ওই পরিবারের সদস্যরা সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নেওয়ার ব্যাপারেও ঘোর বিরোধী ছিলেন। বহু চেষ্টা করেও তাঁদের এই মানসিকতার পরিবর্তন করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত তাঁদের সচেতন করতে ইমামদের শরণাপন্ন হন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। ইমামদের হাতে ওই সব পরিবারের নামের তালিকাও তুলে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকদিন ধরে ওই পরিবারগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পাশাপাশি গ্রামে বেশ কয়েকটি সভাও করেন ইমামরা।
ওই সভায় কলকাতা রেড রোডের ইমাম কাজী ফজলুর রহমান বলেন, “পোলিও এবং টিকাকরণ ব্যবস্থা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য চালু করা হয়েছে। ধর্মের সঙ্গে এর কোনও বিরোধ নেই। প্রিয়জনদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা সকল মানুষের প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত। তাই সমস্ত পরিবারের প্রধান দায়িত্ব, জন্মের পর শিশুকে পোলিও-সহ প্রয়োজনীয় অন্য টিকাকরণের ব্যবস্থা করা। সেই সঙ্গে প্রসূতিদের উচিত নিকটতম স্বাস্থ্যকেন্দ্র অথবা হাসপাতালের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা। ধর্মের অনুশাসনে স্বাস্থ্য রক্ষার বিধিপালনে কোনও বাধা নেই।” ফরাক্কায় কর্মরত এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কো-অর্ডিনেটর জাহেদি হাসান বলেন, ‘‘বহু চেষ্টাতেও যা হয়নি, এ দিন তাই হল। গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে পারলে এ রকম অনেক অসম্ভবই সম্ভব হতে পারে।”
|
পাথর খাদানে কাজ করতে গিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের মিনাখাঁ গ্রামে সিলিকোসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন ৪জন। গোয়ালদহ গ্রামটির শতাধিক মানুষ শ্বাসরোগে আক্রান্ত। রবিবার ওই গ্রামে শিবির করে চিকিৎসা করল রাজ্য বিজ্ঞান মঞ্চ। ১১৯ জন আক্রান্তের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের ওষুধও দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক চিরবিকাশ সরকার-সহ চার জনের একটি দল রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিভিন্ন পরীক্ষার সঙ্গে বুকের এক্স রেও করা হয়েছে। ওই পরিবারগুলির জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ছাড়াও প্রাথমিক ভাবে ১০০ কেজি চাল, ডাল ও নুনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান মঞ্চের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। |