বহরমপুর সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগ সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই শিশু বিভাগটিকে অস্থায়ী ভাবে নিউ জেনারেল হাসপাতালে বা নতুন হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই উপলক্ষে নতুন হাসপাতালের তিন তলায় অস্থায়ী ভাবে তৈরি হয়েছে শিশু বিভাগ। সেই সঙ্গে একই ছাদের তলায় নিয়ে আসার উদ্দেশে সদর হাসপাতাল থেকে শিশু বিভাগের বহির্বিভাগও সরানো হচ্ছে নতুন হাসপাতালে। আগামী মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর থেকে নতুন হাসপাতালে ওই বহির্বিভাগ চালু হচ্ছে।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই ২৬ নভেম্বর শিশু বিভাগের বহির্বিভাগ যেমন নতুন হাসপাতালে চালু হচ্ছে, তেমনি ওই দিন সকাল থেকে সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকা শিশুদের অ্যাম্বুল্যান্সে করে বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালের অস্থায়ী শিশু বিভাগে সরিয়ে নিয়ে আসা হবে। কোনও শিশুর শারীরিক অবস্থা সরানোর মত না থাকে, সেক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে তাদের সদর হাসপাতালে কয়েক দিন রেখে সুস্থ করার পরে তাদের নতুন হাসপাতালে সরানো হবে।”
প্রসঙ্গত, সদর হাসপাতালের গেটের ডান দিকে দোতলায় ৪০টি বেডের শিশু বিভাগ রয়েছে। কিন্তু গড়ে ৭০-৮০ জন শিশু ভর্তি থাকে। কখনও সেখানে ১২০-১৩০ জন রোগীও ভর্তি হয়। সেই সঙ্গে দেখভালের জন্য শিশুর সঙ্গে মা থাকার নিয়ম রয়েছে। ওই চাপ সামাল দিতে একটি বেডে ৩-৪ জন শিশুকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত রোগীর ভিড় সামাল দিতে বেডগুলিকে জোড়া দিয়ে রাখার ফলে রোগীর কাছে চিকিৎসকরা পৌঁছাতে পারেন না বলেও অভিযোগ। এখন মঙ্গলবার থেকে অস্থায়ী ভাবে ওই শিশু বিভাগ নতুন হাসপাতালে সরানোর সিদ্ধান্তে খুশি রোগীর বাড়ির আত্মীয়েরা। এদিকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হওয়ায় নতুন হাসপাতাল আকারে-বহরে যেমন বেড়েছে, তেমনি চেহারার পরিবর্তন হয়েছে। তিন তলার নতুন শিশু বিভাগের ঝাঁ চকচকে মেঝে। দেওয়ালে নতুন রঙের পলেস্তরা পড়েছে। নতুন বেড। সাদা ধবধবে বালিশ-বিছানা। বাড়তি সুবিধা এসএনসিইউ-এর দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদেরও হাতের নাগালের মধ্যে পাওয়া যাবে। আপাতত ওই অসস্থায়ী শিশু বিভাগে ৮০টি বেড রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে ওই বেডের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও মণিময়বাবু জানান। |