গাড়ি চোর সন্দেহে এক যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির সোনাখালি গ্রামের বাসিন্দা বাবলু রহমান নামে ওই যুবক বা তাঁর পরিবারের লোকজন কোনও অভিযোগ অবশ্য করেননি। কিন্তু জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “ওই যুবককে থানার লকআপে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কেউ কোনও অভিযোগ করেননি। কিন্তু আমরা নিজেরাই এই ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছি।” পুলিশ সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ির ডিএসপি (অপরাধ) দমন কর্মকার তদন্ত শুরুও করে দিয়েছেন। বাবলু এখন শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রের খবর, দিন দশেক আগে ওই গ্রামের এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে একটি গাড়ি চুরি হয়। জেলা পুলিশ কর্তারা জানতে পেরেছেন, সেই গাড়ি চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহেই মঙ্গলবার গভীর রাতে বাবলুকে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে ধূপগুড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে পুলিশ কর্তারা শুনেছেন। তবে ওই থানার সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার বাবলুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। তাঁকে পরে বৃহস্পতিবার ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯০ ধারায় গ্রেফতার করা হয়। বাবলুকে তারপরে থানা থেকেই জামিন দিয়ে দেওয়া হয়। তবে পুলিশ কর্তারা শুনেছেন, সেই মঙ্গলবার থেকেই বাবলুকে থানায় রেখে মারধর করা হয়েছে। বুধবার ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে বাবলুর চিকিৎসাও পুলিশ করিয়েছে বলে তাঁর বাড়ির লোকেরা জানান। অভিযোগের তির ধূপগুড়ি থানার এক সাব ইন্সপেক্টরের দিকে। ডিএসপি দমনবাবু শনিবার বাবলুর বাড়িতেও যান। জেলার পুলিশ সুপার অমিতবাবুর বক্তব্য, “ওই যুবকের পরিবার কেন কোনও অভিযোগ করেনি জানি না। তবে আমরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে যে খবর শুনছি, তার উপরে ভিত্তি করেই তদন্ত হচ্ছে।”
রবিবার ধূপগুড়ির সিপিএম বিধায়ক মমতা রায় ওই যুবকের বাড়িতে যান। ঘটনাটি তিনি সোমবার বিধানসভাতে তুলবেন বলে জানান। মমতাদেবীর কথায়, “ওই পরিবারটি তৃণমূলের সমর্থক। তাই অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার যাতে বিপদে না পড়েন, তাই পরিবারটিকে অভিযোগ জমা না দেওয়ার জন্য তৃণমূল নেতারা চাপ দিচ্ছেন।” তৃণমূলের ধূপগুড়ি টাউন-ব্লক সভাপতি গোপাল মুখোপাধ্যায় অবশ্য সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। |