লোকসভা ভোটের বৈতরণী পেরোতে এ বার দলের ইস্তাহারে যুবদের মতামতকেই গুরুত্ব দিতে চাইছে কংগ্রেস। ইস্তাহার রচনার আগে আগাম মতামত যাচাই করার এ বারের পরিকল্পনা অভিনব!
বিজেপি-র নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে টক্করের মুখে দেশের তরুণ প্রজন্মের মনোভাব আঁচ করতে চাইছে কংগ্রেস। যুব সম্প্রদায়ের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে দলের নির্বাচনী ইস্তাহারের জন্য মত সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন দলের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। পশ্চিমবঙ্গে দলত্যাগের হিড়িকের মধ্যেও কলেজ-সহ নানা জায়গায় গিয়ে মতামত সংগ্রহে নেমেছে যুব কংগ্রেস।
এক দিকে ১০০ দিনের কাজ, তথ্য জানার অধিকার বা গ্রামের মানুষের জন্য চিকিৎসার সুযোগের মতো ইউপিএ সরকারের বিভিন্ন যুব-মুখী প্রকল্প তুলে ধরা হচ্ছে। অন্য দিকে, তারা আর নতুন কোন ধরনের আইন চায়, বর্তমানের আইনগুলির মধ্যে কোনটির সংশোধন প্রয়োজন বা নতুন কোনও পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা-ও যুবদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হচ্ছে। যুব প্রজন্মকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, কংগ্রেস তাদের ইস্তাহারের মাধ্যমে প্রতিশ্রুতির বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে না। বরং, দেশের তরুণদের মত নিয়েই ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরি করতে চাইছে। প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অরিন্দম ভট্টাচার্যের কথায়, “নতুন ভাবে ভাবতে চেয়েই ইস্তাহারের জন্য আগাম মতামত নেওয়ার এমন পরিকল্পনা। আমরা যথেষ্ট সাড়াও পাচ্ছি।”
রাহুলের নির্দেশ মোতাবেক ইতিমধ্যেই রাজ্যের গ্রামে গ্রামে যুবদের কাছে দলের তরফে বিশেষ ফর্ম বিলি করা হয়েছে। যেমন, দলে ভাঙনের বাজারেও বসিরহাটে যুব নেতা আব্দুল হান্নানের উৎসাহে অন্তত তিনটি কলেজে ওই ফর্মে মতামত নেওয়া হয়েছে। বাংলা ও ইংরাজি দুই ভাষায় ‘আপনার আওয়াজ, আমাদের প্রতিশ্রুতি’ শীর্ষক ফর্ম পূরণের সময় নাম, ঠিকানা, বয়স, পেশা জানাতে হচ্ছে। ফর্ম পূরণ চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ফর্মের পাশাপাশি ওয়েবসাইটেও মত জানানো যাবে বলে অরিন্দমের বক্তব্য।
কংগ্রেসের একটি সূত্রের বক্তব্য, দলত্যাগের ধাক্কায় দলের ছাত্র ও যুব কর্মীরা যাতে মনোবল হারিয়ে না ফেলেন, সেই দিকে লক্ষ রেখে লোকসভা ভোটের আগে তাঁদের চাঙ্গা করার বার্তা দিতে রাজ্যে আসবেন রাহুল স্বয়ং। তবে দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। |