দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির শিরাকোল ননীবালা হাইস্কুলটি যেতে হলে উস্তি খালের উপরে সেতুটিই মূল মাধ্যম। সেতুর উপরে সার দিয়ে দিয়ে রয়েছে দোকানঘর। ইতিমধ্যে সেতুটি সংস্কার ও চওড়া করার দাবি তুলেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ ও বাসিন্দাদের একাংশ। কিন্তু ওই সেতুর উপরে ইতিমধ্যেই এক ব্যবসায়ী অবৈধ ভাবে দোকান বাড়িয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের বক্তব্য, এর ফলে সেতুটির সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ ব্যাহত হবে।
উস্তি খালের পাশের ১৫ বিঘা জমির উপরে রয়েছে শিরাকোলের ওই স্কুলটি। ১৯৪২ সালে অনুমোদন পায় সেটি। তার পরে জমির উপরে ভবন তৈরি করে পঠনপাঠন তৈরি শুরু হয়। সেই সময়েই উস্তি খালের উপর ১১ ফুট চওড়া ও ৩৩ ফুট লম্বা কংক্রিটের সেতুটি তৈরি হয়।
উস্তি-শিরাকোল রোডের পাশের ওই স্কুলে ঢোকার রাস্তাটিতে সার দিয়ে নানা দোকান রয়েছে। চলতি বছরের ২০ মে ওই অভিযুক্ত ব্যবসায়ী তাঁর দোকান বাড়ানোর কাজ শুরু করেন। সে সময়ে স্কুল ছুটি ছিল। গ্রামবাসীরা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তারপরেও কাজ চলছেই। ইতিমধ্যেই কয়েকটি কংক্রিটের স্তম্ভ বানানো হয়েছে। তার উপরে ইটের দেওয়াল তোলার জন্য জায়গাটি বর্তমানে টিন দিয়ে ঘেরা হয়েছে। |
এই নির্মাণের জন্যই বাধা পাচ্ছে সেতু সম্প্রসারণের কাজ। ছবি: দিলীপ নস্কর। |
স্কুলের প্রধানশিক্ষক দীপঙ্কর চক্রবর্তীর বক্তব্য, “বর্তমানে স্কুলে প্রায় ১৩০০ পড়ুয়া রয়েছে। তাদের যাতায়াতের সমস্যা মেটাতে স্কুলে ঢোকার মুখের সেতুটির সংস্কার দরকার ছিল। কিন্তু ওই ব্যবসায়ীর জন্য বাধা তৈরি হচ্ছে।”
বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লার মদতে ওই ব্যবসায়ী দোকান বাড়ানোর সাহস পাচ্ছে। এমনকী, প্রশাসনকে বলেও কোনও লাভ হচ্ছে না। যদিও বিধায়ক এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলেই দাবি করেছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক মৌমিতা সাহা বলেন, “অভিযোগ পেলেই পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” পুলিশের দাবি, অভিযোগ পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাতের অন্ধকারে ফের কাজ হয়ে থাকতে পারে। ফের অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রায় ৭০ বছরের পুরনো ওই সেতুটি দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় এমনিতেই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। সেতুর নীচের অংশ থেকে কংক্রিটের চাঙড় ধসে পড়েছে। বাসিন্দাদের বক্তব্য, দ্রুত সেতুটির সংস্কার দরকার। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানের সময়ে সরকারি আধিকারিকেরা বা ভোটের সময়ে পুলিশ ওই সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে ঢোকে। ফলে সেতুটির উপর বেশ চাপ পড়ে। তাই সংস্কারের পাশাপাশি সেতুটি চওড়া করাও জরুরি। কিন্তু এই ভাবে যদি দোকানঘর বানানো হয় সেতুর উপর, তবে তা সংস্কার করতে সমস্যা হবে।
শিরাকোল নাগরিক সমিতির সম্পাদক রামপ্রসাদ হালদার ও সদস্য প্রশান্ত নস্করদেরও বক্তব্য, “স্কুলে ঢোকার রাস্তায় ওই সেতুটি সংস্কারের জন্য আমরা জেলা পরিষদে আবেদন করেছিলাম। তা মঞ্জুরও হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হওয়ার কথা। এ দিকে যে ভাবে সেতুর উপরে দোকানঘর বাড়ানো হচ্ছে, তাতে সেতু চওড়া করতে পরে সমস্যা হবে। তাই পুরো বিষয়টি ইতিমধ্যেই মহকুমাশাসক, সেচ দফতর, ও পুলিশকে জানানো হয়েছে।” গণস্বাক্ষর সংবলিত একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জগৎবল্লভপুরের খবর। হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ার পরে এ বারের জগৎবল্লভপুর। ফের ভাঙন ধরল কংগ্রেসে। রবিবার দল ছাড়লেন জগৎবল্লভপুর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি তুষার সরকার। এ দিন বড়গাছিয়ায় তৃণমূল সেবাদলের একটি অনুষ্ঠানে শ’পাঁচেক অনুগামী নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা জানান তুষারবাবু। জগৎবল্লভপুরের তৃণমূল বিধায়ক আবুল কাশেম মোল্লা বলেন, “তূষারবাবুরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আমাদের কাছে আবেদন করেছিলেন। জেলা নেতৃত্বের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেন।” অন্য দিকে, তূষারবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে তৃণমূলই রাজ্যে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে পারবে। তাই এই দলে যোগ দিলাম।” অন্য দিকে, বৃহস্পতিবারই উলুবেড়িয়া পুরসভার চার কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। |