জোর গলায় সকলে জানিয়ে দিলেন, শহরের চেহারাটা বদলানোর জন্য তাঁরা বদ্ধপরিকর। শ্রীরামপুর শহরে দিনেমার আমলের স্থাপত্য পুরনো চেহারায় ফিরিয়ে দেওয়ার প্রয়াসটা আরও জোরকদমে করতে চান ওঁরা। ওঁরা অর্থাৎ, ডেনমার্কের ন্যাশনাল মিউজিয়াম, পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন এবং হুগলি জেলা প্রশাসন।
গত শুক্র এবং শনিবার তিন পক্ষের উদ্যোগে কর্মশালা হল বেহালা ও শ্রীরামপুরে। শ্রীরামপুরে যে ভবনে ওই কর্মশালা হল, সেটি ছিল ডেনিস আমলের গভর্নমেন্ট হাউজ। আড়াই শতক ধরে সেটি ছিল শ্রীরামপুরের প্রধান প্রশাসনিক ভবন। যদিও কালের নিয়মে তা জীর্ণ হয়ে পড়েছিল। বেশ কয়েক বছর পরিত্যক্ত থাকার পরে ডেনিস সহায়তায় নতুন কলেবরে সেটি সংস্কার করা হয়েছে পুরনো অবয়ব অটুট রেখেই। কর্মশালায় এসেছিলেন ভারতে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ফ্রেডি স্ভ্যান, ডেনমার্কের জাতীয় মিউজিয়ামের ‘রিসার্চ অ্যান্ড এগজিবিশনস’ বিভাগের ডিরেক্টর লেনে ফ্লোরিস, বেনটে উল্ফ। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান শিল্পী শুভাপ্রসন্ন, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক সুদীপ্ত রায়-সহ অনেকে। |
ডেনিস রাষ্ট্রদূত। —নিজস্ব চিত্র। |
গভর্নমেন্ট হাউজ ছাড়াও সাউথ গেট, ডেনিস ক্যাভার্ন, সেন্ট ওলাফ গির্জা-সহ ওই আমলের বিভিন্ন ভবন সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে উদ্যোক্তারা জানান। ভবিষ্যতে কেমন দেখতে হবে ভগ্নপ্রায় বা কার্যত বিলুপ্ত সেই সব স্থাপত্য, বড় পর্দায় তা দেখানো হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়েও নানা পরিকল্পনার কথা শোনান তাঁরা।
ডেনিস রাষ্ট্রদূত বলেন, “এটা খুব আনন্দের কথা যে ভবিষ্যতে এই শহরে অতীত দিন ফিরে আসবে। এই শহরের সঙ্গে লম্বা বন্ধুত্বও হচ্ছে।” ডেনমার্কের মিউজিয়ামের প্রতিনিধি বেনটে উল্ফ বলেন, “ভবনগুলি পুরনো চেহারায় ফিরলে একে পর্যটনের ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত ভাল হবে, তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি প্রশাসনিক ভবন হিসেবেও কোনও কোনও স্থাপত্যকে ব্যবহার করা যায় কিনা, সে ব্যাপারেও ভাবনা চিন্তা হতে পারে।” মহকুমাশাসক জয়সি দাশগুপ্ত ভবিষ্যতে ভবনগুলি ব্যবহারের পরিকল্পনার ভাবনাচিন্তা ব্যক্ত করেন। |