|
|
|
|
পুরসভায় নতুন পদ বর্ধমানে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
কাউন্সিল ইনচার্জ বলে একটি নতুন পদ গঠন হল বর্ধমান পুরসভায়। পাঁচ জন পুরপিতা পারিষদ সদস্য, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে এক জন কাউন্সিলর নিয়োগের পরে কাউন্সিলর ইনচার্জ পদে নিযুক্ত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। তবে কেন এই নতুন পদ তা নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি কেউই। যদিও দলের রাজ্য তথা জেলা নেতাদের দাবি, নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের সন্তুষ্ট করতে নতুন পাঁচটি পদ সৃষ্টি করা ছাড়া উপায় ছিল না।
জেলার অন্যতম পর্যবেক্ষক অলোক দাস জানান, শনিবার বর্ধমান পুরসভায় একটি বৈঠকের পরে উপ-পুরপ্রধান ও পাঁচ জন পুরপিতা পারিষদকে বেছে নেওয়া হয়। উপ-পুরপ্রধান মহম্মদ সাহেদুল্লাহ খন্দেকারের হাতে থাকছে জনস্বাস্থ্য, নিকাশি ও পুরস্বাস্থ্য পরিষেবা। পাঁচ পুরপিতা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে রত্না রায়ের হাতে রয়েছে মিউটেশন ও সেপারেশন, সেলিম খানের দায়িত্বে রয়েছে সলিড ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট ও জঞ্জাল সাফাই, অরুপ দাসের হাতে থাকছে বাড়ির প্লান ও অ্যাসেসমেন্ট, শিখা দত্ত পেয়েছেন কর আদায় ও মার্কেট কমপ্লেক্স এবং খোকন দাস পাবলিক ওয়ার্ক অ্যান্ড মিউনিসিপ্যাল স্টোরের দায়িত্বে রয়েছেন। কাউন্সিলর সুতপা ভট্টাচার্য হয়েছেন পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির আহ্বায়ক।
পাঁচ কাউন্সিলর ইনচার্যের মধ্যে শুক্তিশুভ্রা সাহানাকে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব। তফসিলি জাতি ও উপজাতি উন্নয়নের দায়িত্ব পেয়েছেন সুশান্ত প্রামাণিক। সংখ্যালঘু উন্নয়নের দায়িত্বে রয়েছেন প্রদীপ রহমান। জল সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছেন সৈয়দ মহম্মদ সেলিম। শঙ্করী ঘোষকে পদ দেওয়া হলেও তাঁর দফতর এখনও ঠিক হয়নি।
তবে এই বৈঠক সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলর সমীর রায়। রত্না রায় ও শঙ্করী দেবীরও একই দাবি। কী করে ওই তিনজনকে না ডেকে দায়িত্ব ভাগাভাগি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁদের অনুগামীরা। যদিও পুরপ্রধান স্বরূপ দত্তের দাবি, “ওঁদের খবর দেওয়ার কথা ছিল দলনেতার। তবে আমি দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছি না। শেষ মুহূর্তে টেলিফোনে তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা আসতে পারেননি।” দলনেতা শৈলেন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “সেদিনের বৈঠকে পরেশ সরকারের মতো বর্ষিয়ান কাউন্সিলারও খবর না পেয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। দলের তরফেই সকলকে খবর দেওয়ার কথা ছিল। তবে একটা ভুল বোঝাবুঝি হওয়াই ওঁরা খবর পাননি।” |
|
|
|
|
|