ময়দানের দুই প্রখ্যাত মাঠকর্মীর সঙ্গে বাংলা অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস। |
আগের ইনিংসে বীরদর্পে দেড়শো করা লক্ষ্মী এ দিন পাঁচ রানেই থেমে গেলেন। যাঁর বলে তিনি পরিবর্ত উইকেটকিপার শেল্ডন জ্যাকসনের হাতে ধরা পড়ে ফিরে গেলেন, সেই সন্দেহজনক অ্যাকশনের পেসার অভিষেক ভট্টই (৪-৪৭) এ দিন ধস নামালেন বাংলার ব্যাটিংয়ে। দিনের শেষে বাংলা শিবির থেকে অভিযোগ ভেসে এল, ওরা সমানে নেগেটিভ বোলিং করে গিয়েছে এবং এ জন্যই স্কোরবোর্ডের গতির এই দুর্দশা। কিন্তু ছ’টি উইকেটই যেখানে ‘কট বিহাইন্ড’, একটি ‘বোল্ড’ ও অপরটি ‘কট অ্যান্ড বোল্ড’, তার পর অভিযোগটা কেমন যেন অজুহাতের মতো শোনায়। তবে লক্ষ্মী মেনে নিলেন, “আজ আমাদের আরও ‘খাড়ুশ’ ও ‘সেনসিবল্’ হওয়া উচিত ছিল।”
এমন অভিযোগের কথা শুনে সৌরাষ্ট্র কোচ দেবু মিত্র বললেন, “মানতে পারলাম না। আমার দলের বোলাররা সমানে ঠিক জায়গায় বল ফেলে গিয়েছে। সে জন্যই ওদের ব্যাটিংয়ের এই হাল।” দেবু একবার বলছেন, রবিবার তাঁর দলের ছেলেরা যে কোনও টার্গেটের জন্য ঝাঁপাবেন আবার বলছেন, “শুরুতেই দু’তিনটে উইকেট চলে গেলে কেন শুধু শুধু ঝুঁকি নিতে যাব?” বিপক্ষ কোচের বক্তব্য শুনে লক্ষ্মীর বক্তব্য, “ওরা বরং ঝাঁপাক। আমরাও দশ উইকেটের জন্য ঝাঁপাব।”
রবিবার সাত সকালেই অবশ্য ডিক্লেয়ার দেওয়ার কথা বলছেন না কোচ অশোক মলহোত্র। তাঁর ইচ্ছা, অন্তত তিনশোর ব্যবধান নিয়ে ছাড়ার। কিন্তু দশ উইকেট ফেলতে পারবেন সারা দিনে? কোচের জবাব, “কেন নয়? উইকেট যেমন আছে, তাতে পাওয়া উচিত।”
উত্তেজনা দু’শিবিরেই। ছ’ পয়েন্টের আশাও। রবিবার তার রেশও দেখা যাবে মাঠে। তাই বিকেলে যুবভারতীতে ডার্বির আঁচ পোহানোর আগে ইডেনের উত্তেজনায় নিজেকে সেঁকে নিতে পারেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলা (প্রথম ইনিংস) ৩০৩।
সৌরাষ্ট্র (প্রথম ইনিংস) ২২৫।
বাংলা (দ্বিতীয় ইনিংস) ১৯৪-৮ (৮২ ওভার, অনুষ্টুপ ৬৯, ঋদ্ধিমান ৫২, ভট্ট ৪-৪৭, জানি ৩-৫৪) |