শেষ দিনে ছ’পয়েন্টের লড়াইয়ে দুই শিবির
তুমুল লড়াইয়ের আগে সৌভ্রাতৃত্বের হাওয়া ইডেনে! না হলে রবিবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আগে বিপক্ষ অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলতে বলতে তাঁকে প্রায় টিম বাস পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসতে যাবেন কেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল? “এই ছবিটা যেন রবিবার মাঠে না দেখা যায়। এখন দেবু মিত্রের টিমই বাংলার ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় শত্রু”, স্বগতোক্তির মতো করেই বললেন এক প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার। তাঁর ‘আশঙ্কা’ যে সত্যি হবে না, তা একটু পরে দুই শিবির থেকে আসা উঁচু আওয়াজেই পরিষ্কার।
রবিবার ম্যাচের শেষ দিন সকালে ড্রেসিংরুমে ঢুকেই যদি বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের প্যাড-আপ করতে বলেন লক্ষ্মী, তা হলে চেতেশ্বর পূজারাদের সরাসরি ম্যাচ জিততে সারা দিনে তুলতে হবে ২৭৩ আর দিন্দাদের চাই দশ শিকার। শনিবার সারা দিন ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ৮১ ওভারে ১৮৯ রান যোগ করা বাংলার ব্যাটসম্যানরা আর একটু তৎপর হলে এই দূরত্বটা বাড়ত। অন্তত সাড়ে তিনশোর উপর রানের ব্যবধান রেখে দিনটা শেষ করলে রবিবার সকালে পূজারাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া যেত অনায়াসে। তা আর হল কই? ঋদ্ধিমান সাহা (৫২) ও অনুষ্টুপ মজুমদারের (৬৯) ৯২ রানের একটা পার্টনারশিপ। বাংলার ইনিংসে এ ছাড়া আর বলার মতো কিছুই নেই। এমন কচ্ছপ-গতির ইনিংসের পরও ম্যাচ জিতে ছ’পয়েন্ট পেলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’ হবে কি না, ক্লাব হাউসের মধ্যে ছোট-মেজ কর্তাদের আলোচনাতে উঠে পড়ল এই প্রশ্ন।

ময়দানের দুই প্রখ্যাত মাঠকর্মীর সঙ্গে বাংলা অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
আগের ইনিংসে বীরদর্পে দেড়শো করা লক্ষ্মী এ দিন পাঁচ রানেই থেমে গেলেন। যাঁর বলে তিনি পরিবর্ত উইকেটকিপার শেল্ডন জ্যাকসনের হাতে ধরা পড়ে ফিরে গেলেন, সেই সন্দেহজনক অ্যাকশনের পেসার অভিষেক ভট্টই (৪-৪৭) এ দিন ধস নামালেন বাংলার ব্যাটিংয়ে। দিনের শেষে বাংলা শিবির থেকে অভিযোগ ভেসে এল, ওরা সমানে নেগেটিভ বোলিং করে গিয়েছে এবং এ জন্যই স্কোরবোর্ডের গতির এই দুর্দশা। কিন্তু ছ’টি উইকেটই যেখানে ‘কট বিহাইন্ড’, একটি ‘বোল্ড’ ও অপরটি ‘কট অ্যান্ড বোল্ড’, তার পর অভিযোগটা কেমন যেন অজুহাতের মতো শোনায়। তবে লক্ষ্মী মেনে নিলেন, “আজ আমাদের আরও ‘খাড়ুশ’ ও ‘সেনসিবল্’ হওয়া উচিত ছিল।”
এমন অভিযোগের কথা শুনে সৌরাষ্ট্র কোচ দেবু মিত্র বললেন, “মানতে পারলাম না। আমার দলের বোলাররা সমানে ঠিক জায়গায় বল ফেলে গিয়েছে। সে জন্যই ওদের ব্যাটিংয়ের এই হাল।” দেবু একবার বলছেন, রবিবার তাঁর দলের ছেলেরা যে কোনও টার্গেটের জন্য ঝাঁপাবেন আবার বলছেন, “শুরুতেই দু’তিনটে উইকেট চলে গেলে কেন শুধু শুধু ঝুঁকি নিতে যাব?” বিপক্ষ কোচের বক্তব্য শুনে লক্ষ্মীর বক্তব্য, “ওরা বরং ঝাঁপাক। আমরাও দশ উইকেটের জন্য ঝাঁপাব।”
রবিবার সাত সকালেই অবশ্য ডিক্লেয়ার দেওয়ার কথা বলছেন না কোচ অশোক মলহোত্র। তাঁর ইচ্ছা, অন্তত তিনশোর ব্যবধান নিয়ে ছাড়ার। কিন্তু দশ উইকেট ফেলতে পারবেন সারা দিনে? কোচের জবাব, “কেন নয়? উইকেট যেমন আছে, তাতে পাওয়া উচিত।”
উত্তেজনা দু’শিবিরেই। ছ’ পয়েন্টের আশাও। রবিবার তার রেশও দেখা যাবে মাঠে। তাই বিকেলে যুবভারতীতে ডার্বির আঁচ পোহানোর আগে ইডেনের উত্তেজনায় নিজেকে সেঁকে নিতে পারেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলা (প্রথম ইনিংস) ৩০৩।
(প্রথম ইনিংস) ২২৫।
বাংলা (দ্বিতীয় ইনিংস) ১৯৪-৮ (৮২ ওভার, অনুষ্টুপ ৬৯, ঋদ্ধিমান ৫২, ভট্ট ৪-৪৭, জানি ৩-৫৪)

পুরনো খবর:





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.