মাত্র ১৩ দিনের উড়ানেই নাগাল্যান্ড থেকে কেনিয়ায় পৌঁছে গিয়েছে সেই আমুর ফ্যালকনের দল। নাগাল্যান্ডে তিনটি আমুরের পিঠে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং যন্ত্র। সেই যন্ত্রে পাওয়া সিগন্যাল অনুসরণ করেই জানা গিয়েছে, পিঠে যন্ত্র বাঁধা তিনটি আমুর বাজ— নাগা, ওখা ও পাংগতি আরব সাগর পার করে, সোমালিয়া পার হয়ে আপাতত কেনিয়ায় ঘাঁটি গেড়েছে।
মঙ্গোলিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা অবধি প্রতিবছরের শরৎ-হেমন্ত-শীতে প্রায় ২২০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় আমুরের দল। পথে নাগাল্যান্ডে বিশ্রাম করতে নামে তারা। তখনই ওখা জেলায় লক্ষাধিক আমুরকে হত্যা করতেন পাংগতি-সহ আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা। আমুর বাঁচাতে উদ্যোগ নেয় রাজ্য বন দফতর ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি। গ্রামবাসীদের সচেতন করে তাদেরই সংরক্ষণের কাজে লাগান পরিবেশপ্রেমীরা। এ বছর কোনও আমুর হত্যার ঘটনা ঘটেনি। নাগাল্যান্ড বন দফতরের উদ্যোগে, তিনটি আমুর ফ্যালকনের পিঠে এ বার বেঁধে দেওয়া হয়েছে সোলার প্যানেল আর অ্যান্টেনা। বাজ তিনটির নাম দেওয়া হয় নাগা, ওখা ও পাংগতি। ৭ নভেম্বর দয়াং উপত্যকা থেকে নাগা ও পাংগতি ফের উড়ে যায়। ওখা যাত্রা শুরু করে দু’দিন পর।
নাগাল্যান্ডের প্রধান মুখ্য বনপাল এম লোকেশ্বর রাও জানান, নাগা প্রথমে মণিপুরের সেনাপতি, চূড়চাঁদপুর, মিজোরামের আইজল হয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। এর পর বঙ্গোপসাগর পার হয়ে প্রবেশ করে অন্ধ্রে। ফের আরব সাগরের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে সোমালিয়া হয়ে বাজটি ২০ নভেম্বর কেনিয়ায় পৌঁছেছে। পাংগতির যাত্রাপথও মোটামুটি একই। সেও ২০ নভেম্বরই কেনিয়া পৌঁছেছে। ওখা ৯ নভেম্বর দয়াং থেকে ওড়ে। সাড়ে তিন দিনে আরব সাগর পার করে, কাল সে সোমালিয়া গিয়ে পৌঁছায়। বাজেদের চূড়ান্ত গন্তব্য দক্ষিণ আফ্রিকা। রাও বলেন, “ট্রাকিং-এর কাজ ভাল ভাবেই হয়েছে। আশা করি, ফেরার পথে তারা সুস্থভাবেই পাড়ি দেবে।” |