পরিযায়ী বাজপাখির যাত্রাপথে নজরদারি
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
পরিযায়ী বাজপাখি ‘আমুর ফ্যালকন’-এর যাত্রাপথের উপর কৃত্রিম উপগ্রহের নজরদারি চায় নাগাল্যান্ড। এ কাজে রাজ্যের পরিবেশপ্রেমীদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন হাঙ্গেরি ও রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিজ্ঞানীরা। প্রতি বছর পূর্ব এশিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় আমুরের দল। মাঝপথে, নাগাল্যান্ডের দয়াং জলাধারে বিশ্রাম নিতে নামে। সেখানে প্রতি বছর লক্ষাধিক আমুর হত্যা করতেন নাগারা। তাঁরাই এ বার বাজপাখিগুলির যাত্রাপথ ‘ট্র্যাকিং’ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি অনুযায়ী, দয়াং জলাধারে নেমে আসা আমুর ফ্যালকনের দেহে ‘স্যাটেলাইট ট্র্যাকার চিপ’ বসানো হবে। কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) থেকে এরপর তাদের গতিপথের উপর নজরদারি চলবে। প্রকল্পে জড়িত রয়েছে আবু ধাবি বন ও পরিবেশ দফতর। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল এম লোকেশ্বর রাও জানান, এই কাজে সাহায্য করতে হাঙ্গেরির দুই বিজ্ঞানীর পাশাপাশি, রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং ‘ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া’র বিজ্ঞানীরাও ওখা জেলায় যাবেন। এর আগে, মঙ্গোলিয়া এবং আফ্রিকার দক্ষিণাংশে আমুরদের গায়ে ‘স্যাটেলাইট ট্র্যাকার চিপ’ বসানো হয়েছে। এ বছর শুধু নাগাল্যান্ডই নয়, অসমের মরিগাঁও জেলাতেও নেমেছে হাজার তিনেক আমুর ফ্যালকন।
|
ফের গন্ডার হত্যা অসমে
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
মানস, কাজিরাঙার পরে ওরাং। এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয়বার জাতীয় উদ্যানে গন্ডার মারল শিকারিরা। আজ সকালে ওরাং-এর রাজীব গাঁধী জাতীয় উদ্যানের মিসলামারি বনশিবিরের কাছেই একটি গন্ডারের খড়্গহীন দেহ উদ্ধার করা হয়। বনকর্মীদের সূত্রে খবর, গত কাল, দীপাবলির রাতে বাজির শব্দের আড়ালে গুলি চালিয়ে জনবসতির লাগোয়া এই অঞ্চলে গন্ডার হত্যা করে শিকারিরা। গত বছরও কালীপুজোর রাতে একই ভাবে মিসলামারি শিবিরের কাছেই গন্ডার মারার ঘটনা ঘটেছিল। এই নিয়ে চলতি বছরে রাজ্যে শিকারিদের হাতে নিহত গন্ডারের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২। |