দুষ্কৃতীদের মদত দেওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার ব্যবসায়ী দম্পতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রায়গঞ্জের কলেজপাড়া এলাকার বাড়ি থেকেই তাঁদের ধরা হয়। ধৃতদের নাম সুশি ও ইতিবালা সরকার। বাড়ির সামনেই তাঁদের চায়ের দোকান রয়েছে। ধৃতদের রায়গঞ্জ মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হলে বিচারক সব্যসাচী চট্টরাজ তাঁদের জামিনের আবেদন নাকচ করে সুশিকে দুদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ইতিবালা সরকারকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখায় আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
সোমবার রাতে তিন দুষ্কৃতী মোটর বাইকে চেপে হাই রোড সংলগ্ন কলেজ পাড়া এলাকায় যায়। এর পর দুষ্কৃতীরা বাইক থামিয়ে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে কয়েকজন বাসিন্দাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর বাসিন্দারা দুষ্কৃতীদের ধরার দাবিতে সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। বাসিন্দারা ওই ব্যবসায়ী দম্পতিকে গ্রেফতারের দাবি জানান। পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। ওই ঘটনার পরে অখিলরঞ্জন দে নামে এক ব্যক্তি রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। রায়গঞ্জ থানার আইসি দীনেশ প্রামাণিক বলেন, “ধৃত দম্পতি ব্যবসায়িক স্বার্থে দীর্ঘ দিন ধরে দোকানে দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দিয়ে নানা ভাবে মদত দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। আদালতে দাঁড়িয়ে সুশি ও ইতিবালাদেবী বলেন, “কিছু মানুষ ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছে। আইনি পথেই এর মোকাবিলা করব।”
স্থানীয় কাউন্সিলর তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রণজকুমার দাস বলেন, “ওই দম্পতির চায়ের দোকানে নেশাসক্তদের আড্ডা বাড়তে থাকায় বাসিন্দারা সেটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সেই আক্রোশে ওই দম্পতি বাসিন্দাদের ভয় দেখাতে বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের এনে শূন্যে গুলি চালানোর ব্যবস্থা করে। আমরা পুলিশের কাছে অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের ধরার দাবি জানিয়েছি।”
বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু ওই চায়ের দোকানই নয়, সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ও সংলগ্ন কলেজপাড়া এলাকায় কয়েকটি রাস্তার মোড়ে দীর্ঘ দিন ধরে সন্ধ্যার পরে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছে। বাইরে থেকে দুষ্কৃতীরা ওই এলাকায় গিয়ে নেশার আসর বসাচ্ছে। |