ঘিঞ্জি বাজারের ভিতরে রাস্তার উপরে একই সারিতে ছিল সব্জি, ফল ও মুদির দোকান। আগুন লেগে তা ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ২০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে মেখলিগঞ্জ বাজারে। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু কী ভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, ওই ঘটনায় তাঁদের প্রায় সাত লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে মেখলিগঞ্জের মহকুমাশাসক রঞ্জন ঝা ও মেখলিগঞ্জ পুরসভার চেয়ারপার্সন মিঠু সিংহ সরকারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। মহকুমাশাসক জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ২০ জন ব্যবসায়ীর তালিকা পেয়ে তাঁদের দু’টি করে পলিথিন দেওয়া হয়েছে।
মেখলিগঞ্জ পুরসভার চেয়ারপার্সন ব্যবসায়ীদের সব রকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, ওই ব্যবসায়ীরা যাতে ব্যাঙ্ক ঋণ পেয়ে নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন, সে জন্য সহায়তা করা হবে। তিনি বলেন, “ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলেছি। ওই ব্যবসায়ীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন তা আমরা দেখব।”
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহু পুরনো ওই বাজার সঠিক পরিকল্পনার অভাবে জতুগৃহে পরিণত হয়েছে। ওই বাজারে ৩০০টির উপরে দোকান রয়েছে। সেখানে যাতায়াতের বড় রাস্তা নেই। এ বার নিয়ে ওই বাজারে চার বার আগুন লেগেছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জসিনুল প্রামাণিক, রাধেশ্যাম সাহারা জানান, প্রতিদিনের মতো এ দিনও রাত ১১ টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফেরেন। ভোরের দিকে তাঁরা জানতে পারেন দোকানে আগুন লেগেছে।
মেখলিগঞ্জ দমকল কেন্দ্রের ওসি বিপ্লব ঠাকুর বলেন, “আমরা গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করি। সে সময় সেখানে কেউ ছিল না।” প্রাথমিক ভাবে দমকলের ধারণা, শট সার্কিট থেকে অথবা কারও দোকানে রাতে ধূপকাঠি ধরিয়ে রাখলে তা থেকে আগুন ছড়াতে পারে।
ব্যবসায়ী জসিনুল প্রামাণিক বলেন, “আগুনে আমার মুদির দোকানের সব পুড়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমার আবার কী ভাবে ব্যবসা শুরু করব এখন তা ভাবছি।” মেখলিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি বাবলু সিংহ বলেন, “প্রশাসন ও পুরসভাকে জানিয়েছি। যাতে তাঁরা পাশে দাঁড়ান।” |