জবর দখল হঠানোকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের গোলমালে রাসমেলায় প্রায় এক ঘণ্টা দোকানপাট বন্ধ থাকল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। পৌনে সাতটা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা মেলার বেশিরভাগ দোকান থাকায় ক্রেতাদের খালি হাতে ফিরতে হয়। মদ্যপ অবস্থায় এক পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে গোলমাল করার অভিযোগ তুলে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভও দেখান। পরিস্থিতি সামলাতে তড়িঘড়ি রাসমেলা পুলিশ ক্যাম্পে যান জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল। তিনি ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে ঘটনার তদন্ত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। পুলিশ সুপার বলেন, “ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মদ্যপানের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে ওই অফিসারের মেডিক্যাল টেস্ট করানো হচ্ছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাসমেলা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই অফিসার এদিন সন্ধ্যায় কয়েকজন পুলিশ কর্মীকে নিয়ে জবরদখল সরাতে যান। সেই সময় কয়েকটি দোকানের জিনিসপত্র মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করলে তা নিয়ে বাদানুবাদ শুরু হয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মেলায় হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। ব্যবসায়ীদের অবশ্য অভিযোগ, ওই অফিসার মদ্যপ অবস্থায় চড়াও হন। হেনস্তার জেরে এক ব্যবসায়ী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হয়। তা জানাজানি হতেই প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করেন। কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুব্রত সাহা বলেন, “রাস্তার ওপর কেউ কোনও জিনিসপত্র রাখেননি। পুলিশ কোনও সময় বললে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে। তারপরেও মদ্যপ অবস্থায় এক পুলিশ অফিসার ব্যবসায়ীদের হেনস্তা করেন। আমরা ওই অফিসারের শাস্তি চেয়েছি।”
পুলিশ সূত্রের খবর, রাসমেলা চত্বরে নির্ধারিত জমিতে স্টল করার পরেও ব্যবসায়ীদের একাংশ লাগোয়া রাস্তা, ফুটপাত জবরদখল পণ্য সামগ্রী প্রদর্শনের জন্য রাখছেন বলে অভিযোগ। স্টল না পাওয়া ব্যবসায়ীদের অনেকে রাস্তার ওপরেও রকমারি সামগ্রী নিয়ে বসছেন বলে পুলিশ-প্রসাসনের কাছে অভিযোগ আসে। এতে বাসিন্দাদের চলাফেরা করতে সমস্যা হচ্ছিল। অভিযুক্ত অফিসার রজত সরকারের দাবি, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। জবরদখল সরানোর চেষ্টা করেছিলাম মাত্র। তাতেই মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।” |