চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর অভাব রয়েছে, এই কারণ দেখিয়ে জামুড়িয়ার বাহাদুরপুর ব্লক প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের অর্ন্তবিভাগ বন্ধের বিজ্ঞপ্তি দিল ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নোটিস বোর্ডে ১৮ নভেম্বর থেকে পরিষেবা বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ফলে, সমস্যায় পড়েছেন ওই স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (বিএমওএইচ) বিক্রমজিৎ দাস বলেন, “এ ছাড়া আমাদের কিছু করার ছিল না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” যদিও এ রকম কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা যায় না জানিয়ে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক মণিকাঞ্চন সাহা বলেন, “আমি বিষয়টি বিএমওএইচের কাছে জানতে চাইব।”
স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে ছ’জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র এক জন। ছ’জন নার্সের জায়গায় কাজ করছেন চার জন। পাঁচ জন চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন তিন জন। দু’জন ফার্মাসিস্টের জায়গায় রয়েছেন এক জন। গত ছ’মাস ধরে রোগী কল্যাণ সমিতি তহবিলের টাকায় তিন জন অস্থায়ী কর্মী রেখে কাজ চালানো হচ্ছিল। তহবিলের টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় নভেম্বর থেকে তাঁদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এখনও অক্টোবরের বেতন পাননি। বিএমওএইচ জানান, এত কম কর্মী নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু রাখলে জনরোষে পড়তে হতে পারত। এখন এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চার জন ভর্তি আছেন। তাঁরা সুস্থ হয়ে গেলে আর কাউকে আপাতত ভর্তি নেওয়া হবে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে নির্ভরশীল ব্লকের আটটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। শুধু কর্মী সংখ্যা কম নয়, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির পরিকাঠামো নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। মাস দেড়েক আগে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মূল বাড়ির ছাদের চাঁই ভেঙে জখম হন এক রোগী। সিপিএমের অজয় জোনাল কমিটির সম্পাদক মনোজ দত্তের দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে স্বাস্থ্য দফতর রাখলেও এখন প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে গ্রামেগঞ্জে স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়ছে।” জেলা পরিষদ সদস্য তথা তৃণমূলের জামুরিয়া ২ ব্লক সভাপতি তাপস চক্রবর্তী বলেন, “এই সমস্যাটি নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। দিন দুয়েকের মধ্যেই কর্মী সঙ্কট মিটে যাবে।” |