আগেই আধা সামরিক বাহিনীর দাবি জানিয়েছিলেন, এবার পুলিশি নিরাপত্তাও চেয়ে রাখলেন। মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি দিলেন দার্জিলিং জেলার বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। সিপিএমের জীবেশ সরকার, সিটুর দিবস চৌবে, সিপিআইয়ের উজ্জ্বল চৌধুরী, ফরওয়ার্ড ব্লকের অনিরুদ্ধ বসু, আরএসপির দিলীপ রায় ও তাপস গোস্বামীরা এদিন কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামনকে অনুরোধ করেন শিলিগুড়ি পুরসভার দুটি ওয়ার্ডে উপ নির্বাচনের জন্য পর্যাপ্ত বাহিনী রাখতে। দুটি ওয়ার্ডে তৃণমূল আশ্রিত সমাজবিরোধীরা ভোটের দিন গণ্ডগোল পাকাতে পারে এই আশঙ্কায় বিধান মার্কেট, পিডব্লুডি মোড়, ঝঙ্কার মোড়, জলপাই মোড়। নৌকাঘাট এলাকায় বাহিনীর প্রয়োজন বলে মনে করছেন জীবেশবাবু। কমিশনার জয়রামন বলেন, “ওঁরা আমার কাছে এসেছিল। ওঁদের বক্তব্য শুনেছি। নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। যথেষ্ট পুলিশ থাকবে।”
জীবেশ সরকার এদিন বলেন, “সারা রাজ্যেই তৃণমূল সন্ত্রাসের পথে ভোট করেছে। শিলিগুড়িতেও সম্প্রতি কিছু দুষ্কৃতী তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। যা শান্তিপূর্ণ ভোটের পথে অন্তরায় হতে পারে। তাই আমরা নির্বিঘ্নে ভোট হওয়ার জন্য পুলিশের সাহায্য চাইছি। যদিও তৃণমূলের জেলা মহাসচিব কৃষ্ণ পাল তাঁদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, “এত বছর বামফ্রন্টই সন্ত্রাস করেছে। মানুষ তাঁদের খারিজ করেছে। তৃণমূল মানুষের হৃদয়ে রয়েছে। জেতার জন্য আমাদের কোনও গোলমাল পাকানোর দরকার নেই।” এদিন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে অবশ্য আসন্ন জয়ের ব্যাপারে আশা প্রকাশ বামফ্রন্টের নেতারা। স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বচন হলে তাঁরা জিতবেন বলে দাবি বাম নেতারা।
২২ নভেম্বর শিলিগুড়ি পুরসভার ১১ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে উপ নির্বাচন। দুটি ওয়ার্ডেই তৃমমূলের কাউন্সিলর ছিল।১১ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা পুরসভার চেয়ারম্যান নান্টু পাল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু চেয়ারম্যান পদ ছাড়েননি। সেকারণে হাইকোর্টে মামলা করে নান্টুবাবুর কাউন্সিলর পদ খারিজ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। অন্যদিকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চৈতালি সেন শর্মা দলীয় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। সে কারণে এই দুটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ ফাঁকা হয়েছিল। |