সরকারি দরে আলু বীজ
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ক’দিন আগেই জেলায়-জেলায় শিবির করে কম দামে আলু বিক্রির ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য। মঙ্গলবার থেকে সরকারি উদ্যোগে বীজ বিক্রি শুরু হল ছয় জেলায়। যদিও চাহিদার তুলনায় পরিমাণ নগণ্য। পঞ্জাব বা ভুটান থেকে রাজ্যে যে আলুবীজ আসে, এ বার তার দাম আগের তুলনায় দ্বিগুণ। সঙ্কটে সাধারণ চাষিরা। এই পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য বীজ নিগম এবং কৃষি দফতরের যৌথ উদ্যোগে হুগলি, হাওড়া, বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও নদিয়ায় ১৮ টাকা কিলো অর্থাৎ বস্তা পিছু (৫০ কিলোর বস্তা) ৯০০ টাকা দরে বীজ বিক্রির ব্যবস্থা হয়েছে। যেখানে খোলা বাজারে দাম ১৮০০-২০০০ টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন, “আপাতত ছয় জেলায় বীজ বিলি শুরু হল।” আলু উৎপাদনে দেশে প্রথম সারিতে থাকা সত্ত্বেও এ রাজ্যে আলু বীজের বেশিটাই আসে পঞ্জাব থেকে। এ বছর তার চাহিদা লাফিয়ে বেড়েছে। তার একটি যদি হয় উত্তরপ্রদেশের মতো কিছু রাজ্যে বাড়তি চাহিদা, অন্যতম কারণ পশ্চিমবঙ্গ থেকে পড়শি রাজ্যগুলিতে বীজ আলু যেতে না দেওয়া। ফলে মরসুমের শুরুতেই পঞ্জাবের বীজের দাম বস্তা প্রতি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা চড়ে গিয়েছে।
পুরনো খবর: আলুবীজের দামে নাভিশ্বাস, সরকারি হস্তক্ষেপ চান চাষিরা
|
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব বিধানসভা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে হইচই বাধল বিধানসভায়। আলু-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা চেয়ে মঙ্গলবার বিধানসভায় দুটি পৃথক মুলতবি প্রস্তাব এনেছিল বিরোধীরা। একটি প্রস্তাব ছিল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্রের, অন্যটি সুভাষ নস্কর-সহ ৬ বাম বিধায়কের। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মুলতুবি প্রস্তাব দু’টি পড়তে দিলেও আলোচনার অনুমতি দেননি। সুভাষবাবু প্রস্তাব পাঠ শেষ করে এই বিষয়ে কিছু বলতে চান, সঙ্গে সঙ্গে বাম বিধায়কদের বেশ কয়েক জন পোস্টার তুলে ধরেছিলেন। স্পিকারের অনুমতি না পেয়ে বাম বিধায়করা ওয়াকআউট করেন। কংগ্রেস বিধায়ক অসিতবাবুর বক্তব্য, রাজ্যের প্রয়োজনের তুলনায় যেখানে অনেক বেশি আলু মজুত রয়েছে, সেখানে কোথাও কোথাও ৩০-৪০ টাকা কিলো দরেও আলু বিক্রি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও দাম কমেনি। এই মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে সরকারকে আবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান তিনি। বাম বিধায়কেরা মুলতবি প্রস্তাবে বলেছেন, রাজ্যের বাজারগুলিতে কালোবাজারি চলছে।
|
ধান কিনতে বাউলদের প্রচারে নামাচ্ছে রাজ্য |
সরাসরি রাজ্য সরকারের কাছে ধান বিক্রি করার জন্য এ বার কৃষকদের মধ্যে প্রচার চালানো হবে। বাউল, ঢাকি এবং অন্য লোকশিল্পীদের এই প্রচারের কাজে লাগানো হবে। মঙ্গলবার ১৯ জন জেলাশাসকের সঙ্গে চার মন্ত্রীর বৈঠকে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এই প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক পরে বলেন, ১ ডিসেম্বর ধান সংগ্রহ শুরু হবে। ব্যবসায়ীরা যাতে কোনও মতেই চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনতে না-পারেন, সেই ব্যাপারে জেলাশাসকদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সরকার এ বার ছ’টি সমবায় সংস্থার মাধ্যমে সরা সরি কৃষকদের কাছ থেকে ৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনবে। খরচ ধরা হয়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। ধান কেনার জন্য এক হাজার বিশেষ শিবির করা হবে। মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ৩৩৫১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কোথায় কবে কোন সংস্থা ধান কিনবে, আগেই তা জানানো হবে। এ দিনের বৈঠকে ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক, বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান এবং সমবায় মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীও।
|
তৃণমূল নেতা ও আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন আলিপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সন্দীপ মান্না। তিনি এই ব্যাপারে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য বিচারককে যে-চিঠি লিখেছেন, সেই ব্যাপারে সাত দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে নিজের বক্তব্য জানানোর জন্য বৈশ্বানরবাবুকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর চিঠিতে অভিযোগ করেছেন, বৈশ্বানরবাবুর নেতৃত্বে এক দল আইনজীবী তাঁর সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করেছেন এবং আইনজীবী অরুণাভ ঘোষের বিরুদ্ধে সমন জারি করতে বাধ্য করিয়েছেন। তাঁরা যে-ভাষায় কথা বলেছেন, তা মুখে আনা যায় না। তাঁকে দীর্ঘ ক্ষণ ঘেরাও করে রাখা হয়। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায় বলেন, দুই আইনজীবীর মধ্যে বিরোধ। তাই তিনি এই মামলায় যোগ দিতে চান না। ২৯ নভেম্বর পরবর্তী শুনানিতে বিমলবাবুকে উপস্থিত থাকতে বলেছেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। |