সিপিএম কর্মী লিয়াকত মিদ্যাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাত্রসায়রের চার তৃণমূল কর্মী মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। আত্মসমর্পণকারীরা হলেন মোহর আলি মিদ্যা, জসিম মল্লিক, সাদরে আলম ওরফে ছোট কচে এবং শেখ আজিম। মোহরের বাড়ি পাত্রসায়রের বরকতচক গ্রামে। বাঁদলা গ্রামে বাড়ি জসিমের। সাদরে আলম ও আজিম ইদিলচক গ্রামের বাসিন্দা।
ওই চার জনকে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বিষ্ণুপুরের এসডিপিও পরাগচন্দ্র ঘোষ বলেন, “লিয়াকত মিদ্যা খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে চার জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। বাকি অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে।” ২০১২ সালের ১৮ অগস্ট পাত্রসায়রের কাঁটাদিঘি গ্রামের বাসিন্দা সিপিএম কর্মী লিয়াকত মিদ্যাকে পাত্রসায়র বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তার আগে দীর্ঘদিন এলাকায় তিনি ছিলেন না। ওই খুনের ঘটনায় তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য নব পালকে প্রধান অভিযুক্ত করে ২১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ। এ পর্যন্ত ওই ঘটনায় ১৬ জন ধরা পড়ল। তবে তৃণমূল নেতা নববাবুকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আত্মসমর্পণকারীরা সকলেই আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। তাই সিপিএম রাজনৈতিক আক্রোশে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল। ওই ঘটনায় আমাদের দলের কেউ জড়িত নয়।” সিপিএমের পাত্রসায়র জোনাল কমিটির সম্পাদক লালমোহন গোস্বামী বলেন, “লিয়াকতকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের আগেই পুলিশের গ্রেফতার করা উচিত ছিল। আদালতের চাপে সম্প্রতি পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে তৎপর হয়েছে। চাপে পড়ে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীরাও এখন ধরা দিচ্ছে।”
খুনের পরে নিহতের পরিবার থানায় ২৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তদন্ত করে পুলিশ স্নেহেশবাবু-সহ তিন জনের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেয়। |