গ্রামশিক্ষা কমিটির সম্পাদিকা ও সভাপতির সঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিবাদে আটকে আছে সর্বশিক্ষা মিশনের টাকায় স্কুলের দোতলা ভবন তৈরির কাজ, এমনই অভিযোগ তুলেছেন বাসন্তীর ভরতগড় পঞ্চায়েতের শিবগঞ্জ গ্রামের মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকার গাফিলতিতেই স্কুলভবন তৈরি না হওয়ায় ভুগতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের।
২০০৯-১০’ আর্থিক বছরে শিবগঞ্জ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোতলা ভবন নির্মাণের জন্য সর্বশিক্ষা মিশন ২ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মিতলি সরকার ঠিকমতো স্কুলে আসেন না। স্কুলের কোনও বিষয়ে তাঁর নজরদারি নেই। ছাত্রছাত্রীদের বসার সমস্যা নিয়ে তাঁকে বার বার জানানো হলেও তাঁর গাফিলতির জন্য আজও স্কুলের দোতলা ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হল না।” যদিও গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মিতালি সরকার বলেন, “সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা তোলার অধিকার গ্রাম শিক্ষা কমিটির সম্পাদিকা ও সভাপতির। ওই কাজ করার দায়িত্ব কমিটিরই।” |
গ্রাম শিক্ষা কমিটির সম্পাদিকা সুমিলা মাখাল বলেন, ‘‘আমি একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। তাই আমার পক্ষে শিবগঞ্জের ওই স্কুলে গিয়ে নির্মাণ কাজের দেখভাল করা সম্ভব ছিল না। তাই সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা তুলে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে দিয়েছিলাম। আসলে ওঁর আন্তরিকতার অভাবেই কাজে দেরি হচ্ছে।” কমিটির সভাপতি প্রমথ সরদারের বক্তব্য, “প্রধান শিক্ষিকতার সদিচ্ছার অভাবেই এখনও কাজ শেষ করা যায়নি। তা ছাড়া যে পরিমাণ জায়গায় ঘর তৈরির কথা ছিল তার চেয়ে বেশি জায়গা নিয়ে নির্মাণ শুরু হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।” ক্যানিং মহকুমা স্কুল পরিদর্শক শুভেন্দু কুমার মিস্ত্রী বলেন, “আমি শুনেছি স্থানীয় কিছু সমস্যার জন্য ওই স্কুলের দোতলা ভবনের নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে। সমস্যা মিটিয়ে কাজ যাতে দ্রুত শেষ করা যায় তা দেখা হচ্ছে।” |