এত্তা জঞ্জাল! রাস্তার পাশে ডাঁই করা আবর্জনার স্তুপ দেখে বিড়বিড় করে এমনটাই বলছিলেন কৃষ্ণনগরের সুমন ঘোষ। সুমনের বাড়ি কৃষ্ণনগরের ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের একেবারে সীমান্তে। জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে বাগাডাঙায় বারোয়ারিতে তখন পুরোদমে মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে। আর মণ্ডপের কাছে রাস্তার উপরে ডাঁই করা আবর্জনার স্তুপ। সে দিকে আঙুল তুলে সুমন বলেন, “ভাবতে পারেন উৎসবের দিনেও অবস্থার কোনও বদল হয়নি। সামনে রয়েছে পুরভোট। তারপরেও পুরসভার কোনও হেলদোল নেই।”
শুধু বাগাডাঙা নয়, কৃষ্ণনগরের বহু রাস্তার পাশেই ডাস্টবিন উপচে জমতে থাকে আবর্জনার স্তুপ। সে জঞ্জাল পড়েই থাকে দিনের পর দিন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, শহরের মূল বাজারগুলো ও জনবহুল এলাকায় নিয়মিত জঞ্জাল পরিষ্কার করা হলেও ব্রাত্য থেকে যায় পাড়ার ভিতরের এলাকাগুলো। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, স্থানীয় কাউন্সিলরকে বারবার জানিয়েও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। তাই রাস্তার পাশে পড়ে থাকা ওই জঞ্জালকেই মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। |
ঘুর্ণির যদুনাথ পাল লেনের বাসিন্দা কুনাল সান্যাল বলেন, “বাড়ির একেবারে পাশেই জঞ্জাল জমতে জমতে পাহাড় হয়ে গিয়েছে। দুর্গন্ধে টেঁকা দায়। পুরসভাকে বহুবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সাফাই কর্মীদের মর্জিমাফিক সেই জঞ্জাল পরিষ্কার হয়।”অথচ এমনটা কিন্তু হওয়ার কথা ছিল না। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই ময়লা ফেলার জন্য নতুন করে ট্রলি সহ দশটি ট্রাক্টর কিনেছে পুরসভা। সাংসদ তাপস পালের টাকায় কেনা হয়েছে দুটি জঞ্জাল ফেলার গাড়ি।
তারপরেও অবস্থার বদল হল না কেন? কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধান তৃণমূলের অসীম সাহা বলেন, “নিয়মিত জঞ্জাল পরিষ্কার হয় না- এমন অভিযোগ ঠিক নয়।” তিনি বলেন, “প্রতিটি ওয়ার্ডেই পাঁচ থেকে সাত জন করে সাফাই কর্মী আছেন। তাঁদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের। কেউ কেউ সেই কাজটা দায়িত্ব সহকারে করেন। আর যাঁরা সেটা দায়িত্ব নিয়ে করেন না তাঁদের ওয়ার্ডে জঞ্জাল জমে থাকবে। তবে জগদ্ধাত্রী পুজোর আগে ছট পুজোর কারণে দিন কয়েক শহরে জঞ্জাল পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে একটা সমস্যা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু পরে তা মিটে গিয়েছে।” |