বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ রয়েছে বহরমপুরের বাসিন্দাদের। পুরভোটের আগে আর পাঁচটা বিষয়ের সঙ্গে এটাকেও তুরুপের তাস হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে বিরোধীরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভা নিকাশি সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়নি।
পুর-নির্বাচনের মুখে কর্মিসভাতে জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও শুনতে হয়েছে বেহাল নিকাশি নিয়ে নানা অভিযোগ। অধীরবাবু বলেন, “পুরবোর্ড পরিচালনায় কোনও ভুল-ত্রুটি থাকলে, তা সংশোধন করে নেওয়া হবে।’’ কিন্তু বিরোধীদের প্রচারের মুখে ‘সংশোধন করে নেওয়ার’ তত্ত্ব টিকবে কিনা, তা জানতে হলে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য অবশ্য বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল দাঁড়িয়ে থাকার জন্য দায় চাপিয়েছেন সেচ দফতরের উপরে। তাঁর কথায়, “পুর-এলাকার জল নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত মানের হলেও যে ৬টি নালা দিয়ে শহরের জল বাইরে বের হয়ে যায়, তা সেচ দফতরের অধীনে। ওই নালাগুলি সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে ওই নালা সংস্কার না হওয়ায় পুর-এলাকায় জল জমছে। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। এটা প্রশাসনের ব্যর্থতা।” |
এদিকে বহরমপুর পুরসভার ২৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রায় ১২-১৪টি ওয়ার্ড সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে যায়। এছাড়াও ভাগীরথীর পাড় বরাবর বস্তি এলাকায় বৃষ্টির জল দাঁড়িয়ে থাকে। কোনও কোনও ওয়ার্ডে জমে থাকা নোংরা জল নর্দমা উপচে বাড়ির ভেতরে ঢুকে যায় বলেও অভিযোগ।
বহরমপুরের গির্জার মোড়, সতিমার গলি, ইন্দ্রপ্রস্থ, খাগড়া, কাশিমবাজার, সৈয়দাবাদ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীরাম শিরোমণি রোড সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে যায়। ওই জল নামতেও দীর্ঘ সময় লেগে যায়। গোটা বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর থেকে পুরপ্রধানের কাছে জানানো হলেও কোনও ফল হয়নি বলেও অভিযোগ।
বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে পুরবাসিন্দাদের ওই ক্ষোভের আগুন উসকে দিয়ে ‘বৃত্ত সম্পূর্ণ’ করার ডাক দিয়ে বহরমপুর পুর-নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা জেলা তৃণমূলের নির্বাহী সভাপতি হুমায়ুন কবীর বলেন, “সরকারে আমরা রয়েছি। এখন পুরসভার শাসন ক্ষমতা তৃণমূলের হাতে এলে উন্নয়নের বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে। সমস্ত পুর পরিষেবা সঠিক ভাবে নাগরিকদের বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করছি আমরা।” |