|
|
|
|
অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে কারিগরি কলেজে বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অব্যবস্থার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্ররা। মঙ্গলবার সকালে তমলুক শহরের হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক সংলগ্ন রত্নালী এলাকায় এক বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। ছাত্ররা অধ্যক্ষের ঘরের সামনে কলেজের কর্মকর্তাকে ঘিরে ধরে সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভকারী ছাত্রদের অভিযোগ, কলেজে ঘনঘন শিক্ষক পরিবর্তন হওয়ায় পড়াশোনা ঠিকমতো হচ্ছে না। কলেজে প্রশিক্ষণের পরিকাঠামোও পর্যাপ্ত নয়। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি।
ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দু’বছরের ফিটার ও ইলেকট্রিসিয়ান কোর্স পড়ার জন্য পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৮০ জন ছাত্র ভর্তি হয়েছে। ছাত্রদের দাবি, তাঁদের থেকে কোর্স ফি বাবদ ৪০-৫০ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারী ছাত্রদের অভিযোগ, গত অগস্ট মাস থেকে মাত্র তিন মাসের মধ্যে চার জন শিক্ষককে বাদ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ফলে শিকেয় উঠেছে কলেজের পঠন-পাঠন। কলেজের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসও ঠিকমতো না হওয়ায় হাতে কলমে কিছু শেখার সুযোগ মিলছে না। আর কয়েক মাস পরেই পরীক্ষা অথচ কোর্স শেষ হতেই এখনও অনেক বাকি। তাঁদের আরও অভিযোগ, এই কারিগরি কলেজটি রাজ্য সরকারের কারিগরি শিক্ষা দফতর অনুমোদিত বলে দাবি করা হলেও এখানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। কলেজের বিজ্ঞাপনে কোর্স শেষে কাজের নিশ্চয়তা দেওয়া হলেও এখন অস্বীকার করছেন কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ উড়িয়ে কলেজের কর্তা চন্দন বটব্যাল বলেন, “পঠন-পাঠনের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসও নিয়মিত হয়। পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে।” চন্দনবাবুর দাবি, কয়েকজন শিক্ষক সময়মতো ক্লাসে না আসায় গত সপ্তাহে তাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছে। ওই বাদ পড়া শিক্ষকদের প্ররোচনাতেই এ দিন ছাত্ররা কলেজে এসে বিক্ষোভ দেখায়।” কোর্স শেষে নিয়োগের নিশ্চয়তা সম্পর্কে তিনি বলেন, “প্রতি বছরই কলেজে পড়তে আসা অধিকাংশ ছাত্রদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ব্যাপারে আমরা সাহায্য করে থাকি।” |
|
|
|
|
|