অবশেষে প্রধান নির্বাচন বরিদায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
আইনি জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে এগরার বরিদা পঞ্চায়েতে প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন হল। মঙ্গলবার বামেরা নির্বাচনের সময় উপস্থিত না থাকলেও বাম সমর্থিত ডিএসপি সদস্য কাজল মান্না তৃণমূলের সমর্থনে উপপ্রধান পদে নির্বাচিত হন। প্রধান পদে নির্বাচিত হন তৃণমূলের সিদ্ধেশ্বর বেরা। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, “আদালতের নির্দেশ মেনেই আজ সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন হয়েছে। এ বার ওই পঞ্চায়েতের বকেয়া কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।”
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৪ আসন বিশিষ্ট বরদা পঞ্চায়েতে তৃণমূল ৬টি, বামেরা ৭টি ও নির্দল একটি আসন পায়। পরে জয়ী নির্দল সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে হয় সাত। গত ১৭ অগস্ট বামেরা শেখ আইমতকে প্রধান হিসেবে নির্বাচন করার পর নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রধান নির্বাচন হয়েছে অভিযোগ তুলে তৃণমূল জেলাশাসকের কাছে নির্বাচন বাতিলের দাবি জানায়। জেলাশাসক ২৯ অগস্ট নতুন প্রধান নির্বাচনের দিন স্থির করেন। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বামেরা। হাইকোর্ট প্রধান নির্বাচনে স্থগিতাদেশ জারি করে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর আদালত সেই স্থগিতাদেশ তুলে নেয়। তবে মামলার শুনানি এখনও চলছে। |
|
নবনির্বাচিত প্রধান ও উপপ্রধানকে নিয়ে তৃণমূল নেতা-সমর্থকেরা। ছবি: কৌশিক মিশ্র। |
এ দিকে উপপ্রধান পদটি তফসিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত থাকায় ডিএসপি সদস্য কাজল মান্নাকে সর্বসম্মতিক্রমে উপপ্রধান পদে নির্বাচিত করা হয়। সিপিএমের স্থানীয় লোকাল কমিটির সম্পাদক বাদলচন্দ্র গিরি বলেন, “আমরা নির্বাচন বয়কট করেছিলাম। ডিএসপি সদস্য কেন আমাদের সঙ্গে সহমত হলেন না তা আলোচনা করা হবে।”
এগরা-১-এর বিডিও গৌতম সান্যাল বলেন, “অনেক দিন ধরে ওই পঞ্চায়েতে উন্নয়নমূলক কাজ আটকে রয়েছে। হাইকোর্ট ও জেলা প্রশাসনের চেষ্টায় প্রধান নির্বাচন হয়েছে। আশা করছি, এ বার বিবাদ বন্ধ হয়ে কাজ শুরু হবে।” |
|